তোমার অরূপ রূপের ঝলক,
ফেলতে আমায় দেয় না পলক;
আমিতো হয়েছি তাই বরবাদ, ফানাফিল্লাহ।
মাশাআল্লাহ! শোভানাল্লাহ!
তোমার রূপের তাজাল্লিতে শোকর-গুজার।
আলহামদুলিল্লাহ! মাশাআল্লাহ! শোভানাল্লাহ!


স্বর্গ থেকে এলে তুমি মাটির মর্ত্যলোকে,
আলোর জ্যোতি ছড়িয়ে দিলে আনন্দ-পুলকে;
ছলকে ছলকে জাগে মনে শত আশা।
মাশাআল্লাহ! শোভানাল্লাহ!
তোমার রূপের তাজাল্লিতে শোকর-গুজার।
আলহামদুলিল্লাহ! মাশাআল্লাহ! শোভানাল্লাহ!


তোমার কেশে খুশবো মাখা মেশকাত আম্বর,
সেই সুবাসে মশগুল হলো বিশ্ব চরাচর;
চাওয়া-পাওয়ার কথা ভুলে জাগে ভালোবাসা।
মাশাআল্লাহ! শোভানাল্লাহ!
তোমার রূপের তাজাল্লিতে শোকর-গুজার।
আলহামদুলিল্লাহ! মাশাআল্লাহ! শোভানাল্লাহ!


থমকে দাঁড়ায় সাগর-নদী সেই অপরূপ দেখে,
বিশ্বলোকের কবিরা সব তোমায় নিয়েই লেখে;
তুমি প্রেমের কাঁচা সোনা, নয়কো তামা-কাসা।
মাশাআল্লাহ! শোভানাল্লাহ!
তোমার রূপের তাজাল্লিতে শোকর-গুজার।
আলহামদুলিল্লাহ! মাশাআল্লাহ! শোভানাল্লাহ!


০৫/০৭/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ  কবি তার কবিতায় ব্যবহৃত শব্দের অর্থ লিখে দেয়া দৃষ্টতার সামিল। কারণ, তা পাঠকের দায়িত্ব। কিন্তু যেহেতু এ কবিতায় কিছু বেদেশি (আরবি) শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে; তাই, এহেন অপকর্মটি করে দিলাম।


বরবাদ =       একেবারে নষ্ট।
ফানাফিল্লাহ = নিজের চেতনা হারিয়ে অবচেতন স্তরে পৌঁছে যাওয়া।
          অর্থাৎ, নিজের সত্তাকে সমর্পণ করে নিজের বিনাশ করার ইচ্ছা।
মাশাআল্লাহ = পরম শক্তিধর আল্লাহ যা ইচ্ছে করেন তাই হয়। তাই,
                  কোন সুন্দর কিছু দেখলে 'মাশাআল্লাহ' বলতে হয়।
সোভানাল্লাহ (সোবহান আল্লাহ) =  আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করা (বিস্ময়
                  প্রকাশযোগ্য কোনকিছু দেখলে ব্যবহৃত হয়)।
তাজাল্লি = ঔজ্জ্বল্য।
শোকর-গুজার = উপকার স্বীকার করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
আলহামদুলিল্লাহ = সকল প্রশংসা মহান প্রভুর জন্য। অর্থাৎ, সত্য ও
                   সুন্দরের প্রশংসা করা।
মেশকাত = আনন্দদায়ক।
আম্বর = সুগন্ধিদ্রব্য বিশেষ।