সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা সোনার বাংলাদেশ
নদীমাতৃক; জগতে যে তার নেইকো রূপের শেষ!
মসজিদে হয় মিলাদ শরীফ মিষ্টি আনো রে কিনে,
'জয়কালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার' সকলেই তা'রে চিনে।
মিলাদের শেষে মোনাজাত করে তবারকের জিলাপী
খেতে খেতে সবে বাড়িতে ফিরেন, সে সকল মুসল্লী।
মহল্লার ঐ চা'য়ের দোকানে হিন্দু-মুসলিম ভাই,
এক পেয়ালায় চা-ও খেয়ে যায় মাথা ব্যথা কোন নাই।
আব্দুর রবের প্রিয় বন্ধু যে কৃষ্ণ ও কার্তিক,
এক বিছানাতে ঘুমায় সকলে, গল্প করে যে ঠিক।
গেলো বছরে কার্তিক যখন চলে যায় ইণ্ডিয়ায়,
তিনদিন কিছু খায়নি যে রব বিরহের বেদনায়।
একসঙ্গেতে লেখাপড়া আর কলেজ ও ভার্সিটি,
একটি মেয়েকে পছন্দ করে রাস্তায় দিতো সিটি।
দুর্গা পুজার নিমন্ত্রণের অতিথি মুসলমান,
ঈদের দাওয়াতে হিন্দুরা হয় মুসলিমের মেহমান।
হিন্দুর জন্য পোলাও রোস্ট, খাশির মাংস আর
মুসলমানদের গরুর গোস্ত চলছে চমৎকার!
হিন্দু লোকটি আরামে খাচ্ছে, খোশগল্প যে করে,
ভাবাবেগেরই ভাবালুতা নেই তাহাদের অন্তরে।
এক টেবিলেতে পাশাপাশি তারা চলিতেছে খানাপিনা,
কে মুসলমান, কেইবা হিন্দু যায় না সহজে চিনা।
পাবলিক বাসে, বিক্সার সিটে, ক্লাসেরই বেঞ্চে,
পাশাপাশি তারা হিন্দু-মুসলিম এক সাথে রয় বসে।
তাতে নেই কোন ঝুট-ঝামেলা ও নেই কোন বাড়াবাড়ি,
ধর্ম কথায় তাদের মধ্যে হয় না যে মারামারি।
মসজিদ আর মন্দিরখানি পাশাপাশি দুটো রয়,
পুজা ও নামাজ আদায় করতে সমস্যা নাহি হয়।
প্রেমন্দ্র মিত্র বাবু বড়োই জনপ্রিয় ডাক্তার,
হিন্দু মুসলিম সবার কাছেই তিনি যে চমৎকার!
যশ ক্ষমতার গর্ব করেন হিন্দু-মুসলমান,
আলু ও পটল, পেঁয়াজ-মরিচ তাঁরেই করেন দান।
হিন্দুর বউ মসজিদে গিয়ে ইমামের কাছ থেকে
পানি পড়া এনে খাওয়ায় তার অসুস্থ ছেলেটিকে।
হিন্দু-মুসলিম এক সাথে থাকে সকলে যে অমায়িক,
বাংলাদেশ যে এক দৃষ্টান্ত- সে অসাম্প্রদায়িক।
নাই ভেদাভেদ রাষ্ট্রের কাছে হিন্দু মুসলমান,
সকলে যে এই দেশের মালিক রাষ্ট্রের ফরমান।


একখানা রুটি ভাগ করে খায় অজিতেশ ও কবীর,
ধর্ম কথায় তাদের মধ্যে ধরে নাতো কোন চিড়।


২০/০৭/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।