জগতের মাঝে সবচেয়ে অসুখী মানুষ যারা,
তারা বারবার যাচে ভালোবাসার সহযোগিতা।
দুঃখকাতর অন্তরে চায় প্রেম-প্রেরণার ধারা,
প্রত্যয়ী বিশ্বাসে চায় অনুপম জীবনের মিতা।


মরমিয়া সুর-সঙ্গীতকে ব্রাত্য বিবেচনা করে
বিরক্তভাবাপন্ন প্রেয়সী ঘুমের নির্জীবতায়
নির্বিকার চেয়ে থাকে; দাঁড়িয়ে আরেক অন্ধকারে!
এইসব দেখে ক্ষোভে, দুঃখে হাহাকার বেড়ে যায়।


পাহাড়-দৃঢ়তা নাড়ানোর সক্ষমতা নিয়ে, তারা
অফুরন্ত ভালোবাসা করে যায় রোপণ; মননে,
শক্তিশালী পারিবারিক ভিত্তিতে। ঊষর সাহারা
জলবতী হোক, এ আশায় অস্তিত্বের বীজ বোনে।


অঙ্কুরোদ্গম হয় না বীজপত্র মরু-দুনিয়ায়;
সততায়, মমতায়। মানবিক জীবন-যাপন
উত্তরণের সকল সক্ষমতায় হাত বাড়ায়;
কিন্তু দূরে সরে যায়; বেজে উঠে গভীর ক্রন্দন।


অদম্য চেতনমূলে হাল না ছাড়ার অঙ্গীকারে,
বিশ্বাসের দৃঢ়তায় ইস্পাতের শক্তিতে মুহূর্তে
দাঁড়ায় বুক ফুলিয়ে। চায় জীবনের চারিধারে
প্রয়োজনীয় সহানুভূতি, মাটি ও জলের মর্ত্যে।


খুঁজে যায় বোনের আদর, মায়ের অপত্য স্নেহ,
প্রিয়তির ভালোবাসা একজন নারীর অন্তরে;
আশার প্রদীপ জ্বেলে দিগ্বিদিক ছুটে চলে কেহ;
কেউ পায়, আর কেউবা হারায় উত্তাল সাগরে।


১০/০৪/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।