দৃষ্টিকটূভাবে তাকাই দুচোখ মেলে,
এখানে নেমেছে জাহেলিয়াতের ধ্বংসস্তুপ।
যুদ্ধের সমাপ্তি হলে- পরাজিত সৈনিকের লাশ
অবিন্যস্তভাবে এখানেসেখানে পড়ে থাকে;
এ সন্ধ্যায় সোডিয়াম বাতির আলোর নিচে
পড়ে আছে অগনিত লাশ!
স্ট্রিট-লাইটের বিদঘুটে আলোর ভেতরে
সৃষ্টিসেরা মানুষেরা কেমন অদ্ভুত হয়ে যায়!
অশরীরী- কায়াহীন ছায়ার মতন।
অভিশপ্ত স্তব্ধতাকে চুরমার করে হেঁটে যায়-
লুই কানের দৃষ্টিনন্দন জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে।


এখন এখানে জীবনের কোন রঙ নেই-
স্ট্রিট-লাইটের বিভীষিকা ছাড়া;
এখন এখানে শোনার মতন কোন শব্দ নেই-
অনুত্তেজিত মৈথুন- রিরংসার শীৎকার ছাড়া;
এখন এখানে সুবাসিত কোন গন্ধ নেই-
পতিত বীর্যের ক্লোরিনময় কটূত্ব ছাড়া;
শূন্যতায় ভেসে যায় পূর্ণিমার কর্কশ জীবন!


এখানে এখন কামুকের নখ তুলে আনে
খাদ্যান্বেষী ইঁদুরের মতো নারীর স্তনের বাদামী চুচুক,
জরাগ্রস্থ মানবীর প্রেমহীন ভালোবাসা
শকুনেরা খেয়ে যায় দুচোখ উল্টিয়ে,
ধ্বংসস্তুপে চোখ খুলে দেখি-
অভিশপ্ত শতাব্দির নিঃসঙ্গতার জীবনে
জীবন-মৃত্যুর কোথাও পার্থক্য নেই।
তাতালো কড়াই থেকে লাফ দিয়ে
জ্বলন্ত অগ্নিতে করে সন্তরণ-
একি মানুষের যাপিত জীবন?


এই ধ্বংসস্তুপে নেমে আসুক নুহের প্লাবনের ঢেউ,
ডুবে যাক অভিশপ্ত জীবনের বিভীষিকা।
অস্তিত্বের পূর্বপুরুষেরা বুকচেরা রক্ত দিয়ে
যে দেশ সাজিয়ে তুলেছে প্রাণের স্পন্দনে;
আজ বেজে উঠুক সেখানে সেতারের সুর;
অতঃপর, গেয়ে যাবো জীবনের জয় গান।


২৩/১২/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।