স্বপ্নজয়ের অভিলাষগুলো লক্ষ্যের পানে ধীরে ধীরে হেঁটে যায়;
অমিত সাহসী কাজ করে গেলে
অলকানন্দা বয়ে যায় মৃত্তিকার বসুন্ধরায়।
বাংলাদেশের প্রত্যয়ময়ী একটি স্বপ্ন পদ্মা নদীতে সেতু;
স্বপ্ন পূরণে নেমে আসে যেন
স্বর্গ-নীলাম্বর পৃথিবীতে; নাম নিয়ে কালকেতু।
ধার্ষ্টামোদের রাঘব-বোয়াল হিংস্রপশুরা তটস্থ ভয়ে তাঁর;
তেমনিভাবেই বাংলার বুকে আগমন ঘটে
অমিত সাহসী একজন হাসিনার।
পদ্মাসেতু! সেতো রড-পাথর-কংক্রিটে গড়া
সাধারণ কোন একটি স্থাপনা নয়,
আত্মমর্যাদাশীল অমিত তেজী বাঙালির
একটি স্বপ্ন মুজিবের দেশে অনন্ত বিস্ময়!
কতোই না ষড়যন্ত্র! কতো যে কূটিল মন্ত্র,
কতো হা-হুতাশ বাণী;
দু'পায়ে দলিয়ে লক্ষ্যাভিমুখে হেঁটে গেছো তুমি,
হে মুজিব তনয়া! হাসিনা কল্যায়ণী।
যুদ্ধজয়ের আরেকটি নাম লেখা হলো ইতিহাসে,
স্নিগ্ধ হাসির বিজয়িনী নারী মানবতার মাতা
জনগণমনে বেঁচে রবে তুমি আনন্দ উল্লাসে।
চিরায়ত এই বঙ্গভূমিতে অমরালোকের বাঙালিকন্যা তুমি;
কাদামাটিজলের স্বদেশে সম্ভ্রমে বেঁচে রহো,
যতদিন রবে নদী বিধৌত শ্যামলা মাতৃভূমি।
পদ্মাসেতুর প্রতিটি পিলারে প্রতিটি স্প্যানে প্রতিটি অনুকণায়,
তোমার নামের বিজয়ের গাথা স্পন্দিত হবে
বিশ্বব্যাপী অলৌকিক মহিমায়।
স্বপ্নের হলো বাস্তবায়ন; দুর্মূখোদের নাটকীয়তার শেষ!
শ্বাসরুদ্ধকর প্রতীক্ষার পর সদম্ভে হেসে উঠলো বাংলাদেশ।
প্রবল আওয়াজে শ্লোগানে শ্লোগানে বলো-
জয় বাংলা, এ বাংলার জয়!
বিশ্ববাসীরা অবাক তাকিয়ে রয়,
মুক্তিযোদ্ধা অমিত সাহসী বাঙালি কখনো মাথা নোয়াবার নয়।
প্রমত্ত পদ্মার দুই পাড় এক হয়ে গেছে পিরিতির বন্ধনে,
আনন্দ উল্লাসে হেসে যায় দু'পাড়ের জনগণে।
জয় বাংলা, এ বাংলার জয়!
স্বপ্নবিজয় মূর্ত হয়েছে পদ্মাসেতুর সাথে;
এসো ভাই-বোন, বন্ধু-সুজন ছুটি সস্মুখে
আরো দূরপথে যেতে হাত রেখে হাতে।
২৫/০৬/২০২২
(পদ্মসেতু উদ্বোধন দিবস)
মিরপুর, ঢাকা।