পাথরের খাঁচার ভেতরে বন্দী আমি;
স্ব-বন্দী জীবনযাপন বহুকাল ধরে,
চারিদিকে পাথরের প্রাচীন প্রাচীর;
টপ্‌কাতে পারি না তা' নিষেধের ভয়ে।
অলিখিত সে নিষেধ; যা কঠিন ট্যাবু!
অন্তর্গত চোখে অহরহ অন্তর্ভূত হয়
সামান্য সোনাদানার খনির ভেতরে-
জগত-সংসার, পরিবার, প্রিয় পরিজন,
মৃদু স্বভাবের কোমল সুদৃশ্য সুন্দর স্ত্রী,
পছন্দের খাবার-দাবার ইত্যাদি ইত্যাদি...
এ সকল সোনাদানার খনির অভ্যন্তরে
প্রতিদিন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছি
বন্দী হয়ে পাথরের খাঁচার ভেতরে।


অথচ, জীবন্ত আমি তা' চাই না।
আমি চাই, একটা নিজস্ব বাগানবাড়ি।
একখানা ছোট সাজানো-গুছানো ঘর,
দেয়ালের তাক জুড়ে অনেক অনেক বই।
আর
দেয়ালের ও পাড়ে একটি বিশাল বাগান;
ফুল, বৃক্ষ আর গুল্মলতায় ঠাসাঠাসি,
অজস্র পাখিরা বন্য গান গেয়ে যাবে,
সকালে-সন্ধ্যায়, দুপুরের নীরবতা ভেঙে।
গাছের উপরে গুল্মগুলো জড়াজড়ি করে রবে
প্রেমময় প্রিয়তির অত্যন্ত আদরে।
হেঁটে যাবো প্রতিদিন সকালে-সন্ধায়
স্বাস্থ্য সচেতন ধারণাকে নিয়ে।


০৪/০৫/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।