সে-ই কবেকার কথা,
সমান বয়সী অলোকা ছিলো কোমল স্বর্ণলতা।
এখন সে কতো দূর-
তেপান্তরের মাঠের ওপার তাহার নরকপুর।


শাশুড়ি তাহার বউ কাটকিনী, ননদিনী দজ্জাল,
কড়া’য়ের ’পরে মুগ ভাজা হয় অলোকার দিনকাল।
হাসি খুশি মাখা সফেদ চেহারা দিনে দিনে হয় লীন
অলোকা কাঁদে গোপনে নিরবে তণু-মন হয় ক্ষীণ।
দু’বছর পর ফিরিয়া আসে সে কোলে নিয়ে শিশু এক,
স্বামীটি তাহার সংসার ছেড়ে বিয়ে করেছে আরেক।
অলোকা কাঁদে, তার সাথে মাতা, পরশিড়া দেয় খোঁটা,
সব দোষ একা অলোকার ঘাড়ে, সে এখন বড় কুলটা।