[পৃথিবীর যে সকল প্রতিবন্ধীগণ সাধারন মানুষের কাছে
কানা(দৃষ্টি প্রতিবন্ধী), নুলা(শাররীক প্রতিবন্ধী),
পাগল(মানসিক প্রতিবন্ধী), বোকা(বুদ্ধি প্রতিবন্ধী),
অটিজম, ইত্যাদি বিবিধ অভিধায় আখ্যায়িত হয়ে থাকে।
যাদেরকে সমাজের মানুষ অভিশাপ মনে করে
দূরে সরিয়ে রাখতে চায়, তাদের প্রতি সমবেদনায়
আমার এ পঙক্তি মালা উৎসর্গিত করা হলো।]



অব্যক্ত এক কথার মালা ছড়িয়ে দিলেম আজি,
নেতিয়ে পড়ে ভালোবাসার আমার পুষ্পরাজি।
চৌদিকে জল করে কোলাহল জলকে বিহীনে,
বৃক্ষ সে-জন মরুভূঁয়ের জল সিঞ্চন হীনে।
জন্ম কি তার কষ্টধারা নিয়ে এলো প্রাণে!
বোল হারা তার মন ও মগজ কাঁদে বিষাদ গানে।
বলছি আমি সে সব প্রাণের কষ্ট কথা যত,
মিশে আছে ধরার মাঝে বাজছে অবিরত।


সবাই বলে, ‘প্রতিবন্ধী’, আমি বলি- ‘না’,
উড়তে তারা চায় আকাশে আমরা বুঝিনা।
একটু খানি আদর-সোহাগ, একটু ভালোবাসা-
কুঁড়িগুলো ফুল হবে সব দেখতে হবে খাসা।
মন তাদেরই উড়ে বেড়ায় বিশাল আকাশ পাড়ে,
আমরা তাদের বেঁধে রাখি গহীন অন্ধকারে।
পুষ্পকলি ফুটবে এবার আদর-সোহাগ পেলে,
পাপড়িগুলো ছড়িয়ে দিবে আলোকধারায় মেলে।


ভালোবাসার পরশ দিয়ে সমাজ দিলো ঠাঁই,
প্রতিবন্ধী ‘হকিং’ হলো জগৎ-খ্যাত তাই।