'কবীর হুমায়ূন' নাই তার গুণ সে তো ব্লগার কবি,
আছো যতজন শোন বিবরণ ধীরে ধীরে বলি সবই।


কবিতা আসরে কবিরা আসেন কবিতা লেখার তরে,
কবিতা লিখিয়া যায় যে চলিয়া আপন শয়ন ঘরে।
ভালো কি মন্দ, আছে কী ছন্দ, পড়ে না কবিতাখানি,
'খুব ভালো হলো', 'মন ছুঁয়ে গেলো', মন্তব্য যায় টানি।


'অরুন কারফা' নিয়মিত কবি ছাপায় কবিতা তাঁর,
সকলের আগে কবিতার বাগে দেখায় চমৎকার।
প্রেমের গল্প, জটিল অঙ্ক কবিতার শিরোনাম,
পড়ি আর ভাবি কতো সুন্দর করে লেখে অবিরাম।


কবি 'সাইদুর রহমান' লেখে নিত্য দিনের কথা,
কবিতার মাঝে ফুটিয়ে তোলে সে মানুষের ব্যাকুলতা।
ভালো লাগে বড়ো কবিতা তাহার মন্তব্য কাড়ি কাড়ি,
কাব্য-লোকের উজ্জ্বল তারা চারিদিকে ঘোরে নারী।


প্রবাস জীবনে 'ফেরিওয়ালা' কাঁদে কবিতার আলোড়নে,
রসালো কাব্য নিয়ত ঝরিছে কাব্য দেবীর মনে।
'শরীফুন আরা' লক্ষী মেয়ের কাব্য কথার ছলে,
পাষাণের তলে চাপা থাকা ব্যথা ভাসায় নদীর জলে।


কালী ভক্ত 'কালীচরণ দাস' শাক্ত কবিতা লেখে,
কালী কালী বলে কাঁদিছে নিয়ত ধূসর নয়নে দেখে।
'শান্তনু রায়' স্বপ্ন ঝালর ছড়ায় আকাশ মাঝে,
'রূপক জামান ধুসর মেঘ' স্বপ্ন কন্যাকে খোঁজে।


'জয়শ্রী রায়' বাংলা ভুলিয়া বাংরেজি ভাষা লেখে,
নীল পরী তার উড়িয়া গিয়েছে চুপিসারে দূরলোকে।
'সুদীপ তন্তুবায় নীল' এক নবীন কবির বেশে,
লিখছে কবিতা 'কবিতা আসরের' নির্মল পরিবেশে।


'যুগল ঠাকুর', 'গোলাম কবির', 'ডিজিটাল কবি' আর
'ফজলুল হক', 'দীপক কুমার পুশীলাল' সমাহার।
'তারেক আজিজ', 'মাহবুব আলী', 'সাজিদ উদাস কবি',
'অন্তরা', 'রাখাল', 'বিভূতি দাস' অন্ধকারের রবি।


'সৌভনিক' এলো এতকাল পরে, প্রতিচ্ছবির আড়ালে
দাঁড়ায়ে রহিছে অপেক্ষা করে মন্তব্য করার তালে।
'এম. ফয়সল' যৌবন জল তার বড়োই সচেতন,
জীর্ণ হলেও ভালোবাসে তিনি ফেলে আসা সনাতন।


'অর্বাচীন স্বজন', 'পিণাকী দাস অধিকারী' আর 'মিমি',
কতো কবি আসে এই ক্যাম্পাসে সবাইকে কি চিনি?
'আমেনা রেখা', 'পল্লব', 'অনীক', 'ফজলুল সরকার',
'সৈয়দ হমায়ূন পারভেজ', 'রুমা ঢ্যাং', 'সুদীপ্ত' আর-


'প্রিয়তোষ পাঠক' কবির সেরা কবিতা লিখেনা বেশি,
নীলচে রাতে পিয়ানো বাজায় ধরে সত্যের রশি।
'আলাউদ্দিন শিকদার' সা'ব ডাক্তার শিরোমনি,
কবিতা আসরে কাব্য কথার করিছে যে বাখানি।


রাজমহলের 'মহারাজা' এলো চার প্রহরের কালে,
কাব্য দেবীর চুম্বন রেখা ফুটিয়াছে তার ভালে।
বাংলা ভুলিয়া ইংরেজি ভাষে মন্তব্য করে বেশি,
'খুব ভালো হলো' বলে যায় সে অন্য কবিতায় আসি'।


'কয়েছ আহমদ' বেদনার নীল চশমা পরিয়া হায়,
অপরূপ ভালোবাসা অন্তরে ধরে বন্ধুর বিয়েতে যায়।
'ইব্রাহিম রাসেল' চাওয়া-পাওয়া দূরত্ব বজায় রেখে,
সুন্দরের অপেক্ষায় নদীর বাঁকে দাঁড়িয়ে থাকে।


'সাব্বির আহাম্মেদ আদর' প্রেমের কবিতা লিখে,
ভালোবাসা-মাঝে দুঃখ মাখিয়া চোখ হয়ে যায় ফিকে।
তাঁর ভাবনায় প্রিয়ার স্বরূপ আকাশের ছায়াতল,
প্রেমিকা তাহার গভীর রাগিনী সুনিবিড় শতদল।


'ইমতিয়াজ ইমন' কবিতা লেখে কাহারো কবিতা পড়ে না,
তাইতো তাহার কবিতার মাঝে মন্তব্য বেশি ঝরে না।
'রাহাগীর' নামে এক কবি আছে কবিতা আসরে ভাই,
পাইনের বনে দেবদারু খোঁজে খুঁজিয়া পায় না তাই।


'ভিক্টর বিশ্বাস' প্রেমের নিশ্বাস কবিতা লিখিয়া যায়,
অতৃপ্ত প্রেম চারিদিকে ঘোরে ঠিকানা হীনতায়।
'স্বপ্ননীল' কবি বেদনার ছবি কবিতায় প্রাণ তার,
বেকার ছেলে ধুসর সন্ধ্যায় করে শুধু হাহাকার।


এতো কবিদের ভিড়ের মাঝে যে হারিয়ে যাই গো আমি,
তাই দিনমান হই পেরেশান নিদহীন কাটে যামী।
বন্ধুরা ওরে! ভালোবেসে কই রাগ করিও না আর,
খেয়ালের বসে মনের আবেশে লিখেছে ছন্দকার।