ঐ দেখো ঐ 'রফিক' এলো
        বাংলা ভাষার দরদে, হে!
বাংলা ভাষা বিশ্ব মাঝে
        ভালোবাসায় ছড়িয়ে দে।


বন্ধু তাঁহার 'সালাম' সুজন
        হাত ধরেছে তাঁর হাতে,
ত্রস্ততাতে ব্যস্ত তাঁরা
        কাজ করে যায় দিন-রাতে।


কাকতালীয় বলছে সবাই
        আমি বলি বন্ধু ,না,
বিশ্ব-মাঝে বিশ্বপিতার
        রহস্যটা বোঝ না।


কানাডাতে বসত করে
        রফিকুল ইসলাম,
তাঁরই বন্ধু সহযোদ্ধা
        আবদুস সালাম।


দোঁহে মিলে পত্র লিখে
        জাতিসংঘের 'পরে,
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
        উদযাপনার তরে।


অনেক কর্ম অনেক চেষ্টার
        পরে কফি আনান,
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার
        ফরমানটা জানান।


ফেব্রুয়ারীর একুশ তারিখ
        সারা বিশ্বময়,
বাঙালিদের শহীদ দিবস
        আজকে পালন হয়।


পূণর্জনম হলো তাঁদের
        মাতৃভাষার দরদে, হে!
তাঁদের কথা বিশ্ব-মাঝে
        ভালোবাসায় ছড়িয়ে দে।
××××××××××××××××××××××××××××


          কানাডা নিবাসী বাঙালি রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম ১৯৯৮ সালের ৯ জানুয়ারী জাতিসংঘের তৎকালীন জেনারেল সেক্রেটারী কফি আনানকে একটি পত্র লিখেন - ১৯৫২ সালের বাংলাদেশের শহীদদের অবদানের কথা স্বীকার করে ২১ শে ফেব্রুয়ারীকে ''আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস'' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য।
            এরপর বিভিন্ন প্রক্রিয়া এবং তাঁদের নিরলস প্রচেষ্টাও অধ্যাবসায়ের ফলশ্রুতিতে ১৯৯৯ সালের ১৭ ই নভেম্বর এই ঐতিহাসিক বিলটি ১৮৮ দেশের সমর্থন পেয়ে জাতিসংঘে পাশ হয়।
            রফিক ও সালাম-এর প্রচেষ্টা বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছে উচ্চমার্গে। আর ১৯৫২-এর হত্যাযজ্ঞে অনেকের সাথে রফিক ও সালাম নামে দুইজন যুবক শহীদ হয়েছিলেন। সে-ই আলোকে আমার এ লেখার প্রয়াস। ]


তথ্যসূত্রঃ-  Google


                                   ''বাংলা আমার ভাষা''