যুদ্ধশিশুর বুক ফাটা দুখ বুঝবে কি অপরাধী ?
যুদ্ধাপরাধীর বিচার চেয়ে আমিই হ’লাম বাদী।
আমার বুকেতে তুষের আগুন ধিকি ধিকি জ্বলে, হায়!
ঘৃণার বারুদ ক্রমশঃ বাড়ছে দেখাবো কাহারে, তায়!
আমার মায়ের কি দোষ আছিলো, বলরে সমাজপতি?
বীরাঙ্গনার দুষিত খেতাব পেলো কেনো সে-ই সতি?
ধর্মের নামে পিচাশের দল তান্ডব করে যায়,
বলো কিভাবে তা সহ্য করবো বিবেকের চেতনায়!
রুচিতে বাঁধিছে থুতু দিতে- ওই আবর্জনার দলে,
ওরে তোরা আয়, ঘৃণার আগুনে এই দেহ যায় জ্বলে।


নব রাজাকার করে হাহাকার বিচারের কথা শুনি,
ধর্মের মদে মাতাল হইয়া নাচছে আবার খুনি।
ধর্ম কি রে বকধার্মিকের? মিথ্যা-বেসাতি যার,
মুখোশ তাহার খুলে দাও আজ, প্রজন্ম অবতার!


নবী হযরত সাহস আমার, আল্লাহ দয়াময়!
অসুরের মুখে- শুদ্ধ-চেতন কিভাবে সহ্য হয়?
ইসলাম হলো নারী মুক্তির প্রথম ধর্ম ধরায়,
আসবাব হতে মানুষ রূপে সম্মানিত করে যায়।
নবী বলেছেন- নারীও মানুষ আছে তার অধিকার,
শিক্ষা-শান্তি-ব্যবসা-বিপনী সব খানেতেই তাঁর।
ধর্মের নামে অধার্মিকেরা বন্দি করতে চায়-
মধ্যযুগের অন্ধকারে নিতে চায় অবহেলায়।
নবী কি রে একা ওই লোভীদের? নবী কি আমার নয়?
কোরান আমার পথের নিশানা- হাদিসে বিকাশ হয়।


তিরিশ লক্ষ খুনের বিচার যখনই আমি চাই,
যুদ্ধশিশুকে ওই  ভন্ডরা নাস্তিক বলে, ভাই।
হাজার হাজার যুদ্ধশিশুর ক্রন্দন শুনে যাও?
আমার বুকেতে কান পাতো তুমি যদিবা শুনতে চাও।
ধর্মের নামে অধার্মিকেরা করেছে অত্যাচার,
ওদের মুখেতে ধর্মের কথা, সহ্য হয় না আর।
দুই লক্ষ মা শরম হারালো কোথায় মুখ লুকাই!
যুদ্ধশিশুর ফরিয়াদ শোনো- এবার বিচার চাই।
বিচার চাওয়া, অন্যায় বলো ভন্ডের দল, ওরে?
ক্ষোভিত হৃদয় চাচ্ছে বিচার সত্য-বর্ত্ম ধরে।


বন্ধু, কবিতা গড়তে আসি, রাজনীতি করতে নয়,
বর্তমানের রাজনীতি ভাই, আমার সকল ভয়।
মানুষের হাতে অস্ত্র তুলিয়া মানুষ হয় যে পশু!
অকাতরে তারা সংহারি যায় বৃদ্ধ-যুবক-শিশু।
ধর্মের নামে রগ কাটে তারা, গণতন্ত্র মানেনা,
বিপরীত মতে সংঘাত আনে, সহিষ্ণুতা জানেনা।
বিচারের প্রতি অশ্রদ্ধাবোধ, হত্যা নেশায় নাচে,
ভুল পথে থেকে অন্যায় করে শুধুই রক্ত যাচে।