( প্রিয় পাঠক কবি, গতকাল (২০/০৪/২০১৩) আমাদের কবিতার আসরের সবার প্রিয় কবি একটি পোষ্ট দিয়েছিলো। যার শিরোনাম '' আজ আমার কবিতা লেখার দিন নয় '' । খুবই হৃদয়-বিদারক পোষ্ট ছিলো তা । সেই নির্মম ঘটনার আলোকে আমার মনের কল্পনায় একটি চিত্র আঁকার প্রয়াস করা হলো মাত্র। ভালো থাকো বন্ধুরা সব সময়। আর, পশুর অধম 'মানুষ'-এর হাত হতে আমাদের সন্তানদের রক্ষার জন্য ক্রীয়াশীল থাকি।)
=========================================
মায়ের কাছে বিদায় নিয়ে খেলতে গেলো শিশু,
আরো ছিলো বন্ধু সুজন পূর্ব পাড়ার যিশু।
পাঁচ বছরের আনিতা আর চার বছরের ভাই,
খেলছে তারা আনন্দেতে ছড়ায়ে রোশনাই।


ক্ষাণিক দূরে পশু রূপের নপুংসকের জাত,
ভুলে গেলো জন্ম কথা বাড়িয়ে দিলো হাত।
আদরচ্ছলে ডাকলো তারে আয়রে আনিতা-
লেবেনচুষ আর আইসক্রিম খাবি? তুই নিয়ে যা।
ছোট্ট মনে ছিলো নাকো পাপের ধারা কিছু,
যায় এগিয়ে ভাবলো না সে কোনো আগু-পিছু।


চিত্ত যাহার পশুর অধম লজ্জা তাহার নাই,
আনিতাকে আদরচ্ছলে জড়িয়ে ধরে তাই।
লেবেনচুষের লোভ দেখায়ে ডাকলো অগোচরে,
পাষন্ড সেই পশুর-চরিত ধর্ষণ করে জোরে।
আকাশ বাতাস কেঁপে ওঠে- শিশুরই চিৎকার,
রক্তাক্ত দেহখানি পড়ে রয় অসার।
পাঁচ বছরী আনিতা আজ ফ্যালফেলিয়ে চায়,
পশু চেতন অধম মানুষ কামড়িয়েছে গায়।


সমাজপতি! জবাব দাও আজ অপরাধ তার কি?
বলবে তুমি, 'ছিলো মেয়ে বড়ো ছেনালী'?
বিচার আমি চাইবো নাকো তোমার কাছে আর,
হত্যা দিয়ে হয়না বিচার পাশব অত্যাচার।
শিশ্ন তাহার কর্তন করো নপুংসকের জাতের,
এইটুকুনই বিচার চাহি- দাবী আমাদের।
অহংকারের তীব্রতা যে শিশ্নের উপর করে,
দেহ থেকে এমন অঙ্গ কাটো চিরতরে।