সেদিনও ছিলো আজকের মতো শুক্লা-দ্বাদশী রাত,
তুমি রেখেছিলে পরম সোহাগে আমার হাতেতে হাত।
তরল রজত জোছনা ঝড়ছিলো শিশিরের গা বেয়ে,
অপলক চোখে তাকিয়েছিলাম তোমার দিকেতে মেয়ে।
ধীরে ধীরে তুমি ঘনিষ্ঠ হলে- অঙ্গে মিলালে অঙ্গ,
চেতনবিদ্ধ কথায় কথায় করলে কতোই রঙ্গ!
সাপের মতোন বেষ্টনি দিয়ে জড়ালে আমার দেহ,
নিঝুম রাত্রি দেখেছে শুধু্ই , জানিলো না আর কেহ।
আছাড়ি পড়েছে স্বপ্ন অনেক বাহারি চাঁদের তলে,
হাসি কৌতুকে টেনে নিলে মোরে তোমার নীলাভ জলে।
জলের অতলে ডুবালে আমায় কামনার বীজ বুনি'-
মেয়ে তুমি একা কোথায় লুকালে, বলে যাও আজ শুনি?


স্বপ্ন গড়ায়ে ভেঙে যাও ফের, নতুন স্বপ্ন-ঘোরে,
স্বপ্ন আমার নিয়ত কাঁদিছে বিষাদিত অন্তরে।
চঞ্চল মন অঞ্চল দিয়ে ঢেকে রাখো তুমি মেয়ে,
স্মৃতিটুকু বুকে ধরিয়া আজও তরী যাই আমি বেয়ে।
আজিকার রাত ও রাতের মতো আলো ঝরায় না আর,
অনেক আলোর রোশনাইখানি হয়ে যায় আন্ধার।
করুণ গাঁথার বিলাপ ধ্বনির কান্না শুনতে পাও?
অপেক্ষা করো তোমার তীরেতে ভিড়বে আমার নাও।
একা এ জীবন কাটে নাকো আর দুঃসহ ব্যথা নিয়ে,
কোন অজানায় চলে গেলে বধু- সাত জনমের প্রিয়ে।