স্বর্গারোহনের সিঁড়ি তোমার শ্রমিকের রক্ত-ঘামে কেনা,
ঐ প্রাসাদের ভিত তৈরী করে শ্রমিক নিরন্তর;
অথচ, তার ঘরে ক্ষুধার আগুন জ্বলে,
অভুক্ত শিশুর চিৎকার শোনা যায়।


স্বর্গ-পতনের পাপের প্রায়শ্চিত্য শুধু কি শ্রমিকের জীবনে?
মালিক হয়েছো বলেই- হৃদয়ে কঠিন আস্তরন!
কাঁচের দেয়ালে প্রলেপ দাও দুঃসাহসী কালো রঙ।
তুমি কি জানো- এই হাতুরী, শাবল, গাঁইতি
শুধু সৃষ্টিই করতেই জানে না; ধ্বংসেও পারঙ্গম।
তার অস্ত্র শাণিত হয়- প্রগাঢ় ক্ষুধার যন্ত্রনায়,
তার ঢাল প্রসারিত হয়- রক্ত-কণায়।
অবহেলায় তারে পাশ কেটে যেওনা, প্রভু!
পিছলে পড়ে যাবে গহীন অন্ধকারে।
সিড়ি যে শ্রমিক তৈরী করে রক্ত-ঘাম-শ্রমে,
তারাই আবার ভাঙ্গতে পারে অদ্ভুত উদ্যমে।


তুমি কি দেখোনি, 'হে মার্কেট' ঢেকে দিয়েছে
রক্ত-আগুনের স্ফুলিঙ্গের লেলিহান শিখায়,
তুমি কি শুনোনি, শ্রমিকের রক্ত-শিখায় জ্বলে ওঠে
প্রদীপ্ত অহংকার - প্রাণের শ্লোগান-
দুনিয়ার মজদুর এক হও, হও আগুয়ান!


দুনিয়ার মজদুর এক হও, ভেঙ্গে ফেলো দাসত্বের শৃঙ্খল,
জয় নিশ্চয় হবে, প্রাণোস্পন্দনে জাগাও জলোচ্ছ্বাসের জল।