(সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপ থেকে ১৭ দিন পর
জীবিত ফিরে আসা বস্ত্র-বালিকা রেশমাকে উৎসর্গীত)
----------------------------------------------------------------------
কী এক আশ্চর্য প্রাণশক্তিময় মৃত্যুঞ্জয়ী রেশমা!
সতের দিবস কাটালে ধ্বংসস্তুপের মৃত্যুগুহার ভেতর;
তোমার প্রাণের স্পন্দন দিয়ে যায় নাড়া
লোকান্তরের একক শক্তির প্রকাশ দীপ্রতায়।
অনুজ্জ্বল চোখ, শীর্ণ দেহ বাতাসে ভেসে যায়-
অলৌকিক ভালোবাসার চেতনবিদ্ধতায়।
আমাদের প্রার্থনা নেমে আসে স্বর্গের চাতাল থেকে
রামধনুর সাতরঙা ভালোবাসা নিয়ে।
এতো মৃত্যু, এতো ধ্বংস, এতো হাহাকার
সবকিছু তুলে নিয়ে আনন্দাশ্রু ছড়ালে চারিধার।
আমরা কেঁদেছিলেম প্রাপ্তির পরম ছোঁয়ায়,
অন্তরে ছিলো অমোঘ ভালোবাসার ফল্গুধারা।
অনুভবে অনুক্ষণ বুঝতে পেরেছো কি তুমি,
কতো ভালোবাসা, কতো স্নেহ, কতো অনুরাগ
ঝরে পড়ছে প্রাণে প্রাণে শ্রাবণ ধারায়?
তোমার জন্য নেমে এসেছে আকাশের দূত,
তোমার জন্য জেগে উঠেছে আঁধারের শুভ্রতা,
তোমার জন্য ছড়িয়ে যায় প্রাণের সুবাস,
তুমি বুঝতে পারছো কি বিস্ময় বালিকা রেশমা!