[একটি রম্য ছড়া। আসরে খুবই ভারি কথার, সম্মৃদ্ধ চেতনার কবিতা লিখা হয়; একটু হাস্য-কৌতুক নিয়ে লিখতে প্রয়াস চালিয়েছি। সুন্দর থাকো পাঠক বন্ধুগণ।]
------------------------------------------------------------------------
মানুষ জীবন মজুর জীবন নিত্য করে কাজ,
কাজেই তাহার দিন কেটে যায় ভুলে যায় সে লাজ।
সূর্য উঠার সাথে সাথে কাজের খোঁজে যায়,
কাজ না পেলে হাড়ি উপুড়, সুখ খুঁজে না পায়।


থাকলে ঘরে বিবাদী বউ- ভালোবাসা কম,
টাকা দিলেই হাসি ফোটে, না হলে সে যম।
মাথার ঘর্ম পায়ে ফেলে কাজ করে দিনমান,
পান থেকে চুন খসে গেলেই দেখায় অভিমান।


বালিশখানা আস্তে লয়ে পাশের ঘরে যায়,
মনটা তখন দুরু দুরু কাঁদে বিষন্নতায়।
কাজের শেষে ফুর্তি হবে আশা নিয়ে আসে,
ঘরের ভেতর ছুঁচো নাচে পড়ে ফাটা বাঁশে।


সখ করে সে ঢুকেছিলো সমস্যার সংসারে,
বের হতে চায় বেড়া কেটে কিন্তু পারে না রে।
ছাওয়াল বলে- 'বাপজান তুই, যাবি কোথায় ছেড়ে?'
মারমুখী বউ ক্ষেপে আসে খুন্তি নিয়ে তেড়ে।


আধেক মরা জীবনখানি কাটেনা তো আর,
জানলে আগে করতো না সে দজ্জালের সংসার।
সংসার হলো- একটি খোয়ার চাকচিক্যেতে ভরা,
উৎসুক সব ছেলে-মেয়ে নিজেই খায় যে ধরা।


ঢুকে আবার কয়দিন পরেই, বের হতে সে চায়!
পারেনা তাই- বন্দি খাঁচায় শুধু যে তড়পায়।