[শ্রীমতি সুচিত্রা সেন-এর প্রয়াণকে স্মরণ করে এ লেখা।]


কখনো তুমি বুড়ি হবে না, কখনো না; তাই বলে কি
নির্বাসনে ছিলে তিনটি দশক?  স্বেচ্ছা নির্বাসন!
শ্রাবণ সন্ধ্যার অঝোর ধারায় ভাসায়ে গেলে আজ
ভক্তকুলের সপ্তপদী হৃদয়; হে দেবী চৌধুরানী!
কোথায় শেষ এই জীবনের? মানুষ জীবনের!
শিল্পীর দীপ্তিময় কীর্তি দীপ জ্বেলে যায় নিরন্তর-
মরনের পরেও সবার উপরে রহো, হে রাজলক্ষ্মী!
সন্ধ্যার ঘুটঘুটে অন্ধকার, মধ্য-রাতের নিকষ প্রহর
তোমাকে স্পর্শ করতে পারেনি কোনদিন;
মধ্যাহ্নের তেজঃদীপ্ততা সমস্ত আকাশ জুড়ে,
শাওনের ভরা নদী, বর্ণীল পাল তোলা নাও
উজান জলে ঠেলে গেছো একা একা দৃপ্ততায়;
অগণন যুবক-যুবতী, প্রেমিক-প্রেমিকার হৃদয়ে
ঈর্ষা জাগিয়েছো মহিমাময় কারুকাজ দিয়ে;
প্রৌঢ়ের চেতনে করেছো স্বপ্নীল অতীত রোমন্থন-
একটি রাতের জন্য হলেও, হে বিশ্বজয়ী দেবকন্যা!
চির যৌবনবতী শ্মশানের পথে ক্রমশঃ অগ্রসরমান,
অনন‌্য রূপের মহা নায়িকা নিরবে করেছো প্রস্থান।