যুবক, এই নাও একঝুড়ি রোদ্রের ঝলক,
গনগনে দুপুরখানি উপুর করে দিলেম সবটুকু,
নাঙ্গা পায়ে  হোক হন্টন তৈলচিত্র নদীর দিকে;
ওখানে বসে আছে একা প্রেমময় নারী এক
তোমারই প্রতীক্ষায় অনন্তকাল ধরে-
চাঁদের মতো উজ্জল চোখ, বেতস লতার দেহ তার।


যুবক, এই নাও কালি-আন্ধারের শিলা-বৃষ্টির জলের ফোটা,
উথাল পাথাল বাতাসের সাথে উড়ে আসা সবটুকু দুঃখ,
দীঘল নদীর কান্নার মতো উপচে পড়া শোক;
ওখানেই হোক বসবাস পরঞ্জয়ী, হে যুবক!
কবিতার মতো তোমারই প্রতীক্ষায় অনাদিকাল হতে-
অনেক অন্ধকারের ভেতর এক ফুটকি আলোর রেখা।


যুবক, এই নাও তপ্তশ্বাসের শ্লোগান মূখর রাজপথ,
উদ্বেলিত হাতের দৃপ্রতার অঙ্গীকার,
মা, মাটি, মানুষের প্রতি গদহীন প্রেমের আরক;
আমার নিষিদ্ধ সময়গুলো তোমাতেই রেখে যাই।
ফিরে এসো, করো না সঙ্গী একা একা বিষণ্ণতায়-
ঘর্মক্লান্ত শরীরে হেঁটে যাওয়া উদ্দেশ্যহীন ফুটপাথ ....