এই কথাটি এক্কেবারে সত্য-
এক দেশে এক রাজা ছিলো নাম ছিলো তার দৈত্য।
দাঁত হলো তার নরম তুলার, হাত হলো তার বালিশ,
ঊনিশ থেকে বিশ হলেই সে করতো শুধু নালিশ।
চোখের ভেতর আস্ত সুরুজ লুকিয়ে রাখতো সে-
খুশি হলে ঘুসি দিতো নিজের মাথাতে।


ভাবছো তুমি বলছি আমি মিথ্যে?
দেখতে তারে এসো তুমি থাকলে সাহস চিত্তে।
ঐ যে দেখো সিন্ধুর ওপার নীল চোঁয়ানো রেখা-
ডুব সাতারে গেলেই তুমি পাবে তাহার দেখা।
ভয় পেয়ো না নামটি তাহার যদিও বা দৈত্য,
বড্ডো ভালো সেই দৈত্যটি বিছানা তার পথ্য।


বলছো তুমি বানানো এক গল্প?
একদম খাঁটি দুধের মতো মিথ্যা নাহি অল্প।
প্রতিদিনই দৈত্যটা যে আসে সাঁঝের রাতে,
সব বাবুদের ঘুম পারায় সে বুলিয়ে হাত মাথে।
আমি যখন কাব্য লিখি রাত্রি জেগে জেগে-
ধমকিয়ে যায় আমায় তখন ভীষণ রেগে রেগে।