বাংলাদেশের বিদগ্ধ কবি, হে জসীম উদ্দিন!
তোমার জন্মে তাম্বুলখানা আলোকিত প্রতিদিন।
বাংলার গ্রাম শব্দে ছন্দে তোমার কাব্যে হাসে,
মানুষের মুখে, অন্তরে বাজে সরল সহজ ভাষে।
গ্রাম বাংলার অপরূপ রূপ সুশোভিত বিল-ঝিল,
তোমার কলমে নেচে ওঠে; তারা হেসে উঠে খিলখিল।
গ্রাম্য জীবনে শোষণ-পীড়ন হাসি কান্নার কথা,
শিল্পীতভাবে কবিতার মাঝে দিয়ে গেলে অমরতা।
গাঁয়ের লোকের জীবনযাপন শব্দের তুলি দিয়ে,
রেখেছো বাঁধিয়ে অনিন্দ্য ছবি কতশত রঙ নিয়ে।
আজো খুঁজে পাই ছন্দে-শব্দে প্রগাঢ আস্বাদন,
শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্ম এঁকেছো কবিতায় অগণন।
পল্লীকবি গো! চলে গেছো তুমি মর্তভূমিকে ছেড়ে,
এখনো যে তুমি সম্মানে আছো বাংলার ঘরে ঘরে।
তোমার পল্লীগীতিগুলো আজো দোলা দিয়ে যায় মনে,
মরমী কথার সেই বাণীগুলো ভাবায় সংগোপনে।
নকশি কাঁথার সাহসী রুপাই-সাজুর প্রেমের কথা,
শহরে ও গ্রামে যুবক-যুবতী আজো বলে যথাতথা।
এক নামে চিনে পৃথিবীর লোকে তুমি যে পল্লীকবি,
মানুষের সুখ-বেদনাকে নিয়ে এঁকে গেছো কতো ছবি।
জীবনের কথা অপরূপ রূপে কবিতার ক্যানভাসে,
রেখে গেছো কবি; পাঠক মননে সুললিতভাবে হাসে।
দোয়া মাঙি আজ, ওগো দয়াময়! এমন কবিকে তুমি,
বিচারের দিনে অসীম দয়ায় দানিও স্বর্গভূমি।


২৫/০১/২০২৩
মিরপুর, ঢাকা।