(কবিতার আসরের কবি রিঙ্কু রায় (আবৃত্তিকার)- কে
'পরাণের হাহাকার' উৎসর্গ করা হলো।
আত্মজা-বিয়োগের শোক, দ্রুত প্রশমিত হোক।)
-----------------------------------------------


পরানের কথা হৃদি-ব্যাকুলতা বাতাসেতে দেয় দোলা,
আন্ধারে মিশে পাইনিকো দিশে মন আজ হাটখোলা।
কতো যন্ত্রণা, কতো মন্ত্রণা প্রাণের গভীরে জাগে,
মায়ের পরাণ করে আনচান মর্মের অনুরাগে।
বেদনা বুনছি, কান্না শুনছি দীঘল রাতের শেষে,
কতশত জ্বালা, পরাণ উতলা বিরহের পরিবেশে।
বেদনপরশ শরীর অবশ কাতর-পরাণ কাঁদে,
রাতের বেলায় খুঁজছি সদায় জীবনের অবসাদে।


তারাদের মাঝে লুকিয়ে যে আছে আমার নয়নমণি,
বাতাসে বাতাসে, দূরের আকাশে শুনি তার কলধ্বনি।
বুকে চিনচিন করে সারাদিন বিরহবেদনা, দুঃখ,
উদাসী বাতাস করে হাহুতাশ, জীবন জটিল, রুক্ষ।
নিঠুর বিধাতা বোঝে না সে ব্যথা! মন যে মানে না আর,
বুকের ভেতরে বেদনারা ঝরে, প্রাণ করে হাহাকার।


০৭/১১/২০১৭।
মিরপুর,  ঢাকা।