[ পূণঃত্রয়ী কবিতাঃ  ইংরেজিতে এক ধরনের কবিতাকে TRIOLET কবিতা বলে। এটি  মাত্র দুটি ছন্দের আট লাইনের একটি ছোট কবিতা।
এর নির্দিষ্ট  নিয়মটি সহজবোধ্য: প্রথম চরণটি চতুর্থ ও সপ্তম চরণে পুনরাবৃত্তি করা হয় এবং দ্বিতীয় চরণটি শেষ বা চূড়ান্ত চরণে পুনরাবৃত্তি করা হয়।  শুধুমাত্র অন্তমিলগুলো পরিপূর্ণ ছন্দতায় ব্যবহার করতে হয়।  
ছন্দ প্রকরণঃ  ABaAabAB, বড় হাতের অক্ষরে পুনরাবৃত্তি লাইনের ইঙ্গিত। সুতরাং, বলা যায় 'পূণঃত্রয়ী' মাত্র পাঁচটি মূল চরণের কবিতা। কবিতার তিনটি চরণ পুনরাবৃত্তি হয় বলে এটিকে আমি 'পূণঃত্রয়ী' বলে অভিহিত করলাম। ]
============================================


কুঞ্জবনের দুয়ার খোলা আসবে আমার প্রিয়তী,
শুকতারার ঔ আলোর রেখায় চেনা পথের কুঞ্জবন,
লক্ষ দীপের আলো জ্বেলে সাজাই অতুল মূরতি;
কুঞ্জবনের দুয়ার খোলা আসবে আমার প্রিয়তী।
হঠাৎ করে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে ঘোর অতি,
রাধার তরে অধীর হয়ে পথ চেয়ে রয় কৃষ্ণমন;
কুঞ্জবনের দুয়ার খোলা আসবে আমার প্রিয়তী,
শুকতারার ঔ আলোর রেখায় চেনা পথের কুঞ্জবন।


২২/১১/২০১৪।
মিরপুর, ঢাকা।
============================================
(আরো একটি পূণঃত্রয়ী)


দিঘির জলে ঢিল
কবীর হুমায়ূন


দিঘির জলে ঢিল ছুঁড়ে কে, বল ?
ঢেউয়ের ঘায়ে পাড় ভেঙ্গে যায় আজ।
সবুজ বনে নেইকো কোলাহল;
দিঘির জলে ঢিল ছুঁড়ে কে, বল?
দীঘল রাতের চাঁদের কৌতূহল;
দ্রুত পায়ে এসো রেখে সাজ।
দিঘির জলে ঢিল ছুঁড়ে কে, বল?
ঢেউয়ের ঘায়ে পাড় ভেঙ্গে যায় আজ।