কল্যাণীয়াসু, স্বর্গ-তপতী, অতুলনীয়া প্রিয় 'মম' !
যতোই মন্দ বলে বিশ্বাস করো,
ততো মন্দ নই আমি, এই আমার শেষ কৈফিয়ৎ।


বেদনার যে আগুনে পুড়ে যাচ্ছি আজ,
সেই আগুনের পরশমনি তুমিই দিয়েছো জ্বেলে;
যা ধুমকেতুর বিস্ময় নিয়ে উদিত করেছে আমায়
উদগ্র অতৃপ্তি, দুর্দমনীয় প্রেমের কাব্যের চাতালে!
তুমি এসেছিলে যৌবনের জোয়ার লগ্নে,
মহাকাল মুছে ফেলতে পারবে না কখনো তা'।

তুমিতো জানো, আমি তোমার সৃষ্ট এক কবি,
অসুন্দর কুৎসিতের সাধনা কবির নয়;
তাই, কবির আঘাত বর্বর কাপুরুষের মতোও নয়।
আমার অন্তর্যামী জানেন, তোমার বিরুদ্ধে
কোন অভিযোগ, কোনো অনুযোগ নেই;
নেই কোন দাবী তোমার প্রতি।


তোমার কিশোরী মুর্তিকে দেবীমূর্তি জ্ঞান করে,
অনন্ত ভালোবাসা, পরম শ্রদ্ধায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেম
হৃদয় বেদীতে; পাষাণ দেবীকে দিয়েছি পূজার আরতি!
তুমি কি আজ মিথ্যা, ব্যর্থ, অপূর্ণ আকুতি?


কোন এক আষাঢ়ে বৃষ্টির প্লাবন নেমেছিল মর্ত্যলোকে,
মেঘপুঞ্জ বিরহী যক্ষের বাণী নিয়ে গিয়েছিলো
মালবিকার দেশে, রেবার তীরে, তার প্রিয়ার কাছে;
তেমনই এক বৃষ্টির ধারা ঝরছে নয়নে আমার ।

যেখানে গেলে পৃ্থিবীর সকল অপূর্ণতা,
সকল অপরাধ মনোহর মূর্তিতে দেখা দেয়;
আমি সেখানেই তোমাকে করেছি স্থাপন ।
তোমার প্রতি আজ কোনো জিঘাংসা নেই,  
যে রূপকে ভালবাসার অঞ্জলি দিয়েছিলাম,
আজো মন্দারের পারিজাতের মতো চির অম্লান।

তুমি বিশ্বাস করো, আমি যা লিখছি তা' সত্য।
পৃথিবীর প্রেমের ফুল ম্লান হয়ে যায়, হয়ে যায় হতশ্রী,
আমাদের প্রেম কখনো হবে না তা', মম শ্রীমতি।
মজনু লাইলিকে,ফরহাদ শিরিকে, চন্ডিদাস রজকিনীকে
আপনার করে পায়নি; আমি না হয় তাদেরই একজন।
তুমি সুখি হও, শান্তি পাও, নিরন্তর কাল ধরে,
এই প্রার্থনায় নিত্য শুভার্থী, কোন এক কবি।


১৬/০১/২০১৫।
মিরপুর, ঢাকা।