বিশাল সংসার তলে আঁকা এ জীবন-বৃত্ত,
বিধির বিধান বলে নর-নারী করে নৃত্য।
          পুরুষ পরিধি যথা,
         কেন্দ্রে রহে নারী তথা;
ব্যাসার্ধ প্রীতির ডোরে বাঁধিছে হৃদয়দ্বয়,
অচেনা-অজানা দোঁহে কভু নাহি পরিচয়।


বরের প্রতি-
যে অমূল্য রত্ন তুমি লভিবার আশে,
সানন্দে এসেছো আজ হারিয়েছো দিশে।
প্রেমের মালিকা তারে দিও উপহার,
আজি হতে তুমি তার, সে-ও যে তোমার।
ব্যথা কভু দিয়ে নাকো তার ছোট দিলে,
ক্ষমা করে দিও তারে কোন ভুল পেলে।
রেখো তারে হিয়া মাঝে অতীব যতনে,
তুমি তার, সে তোমার জীবনে মরণে।


কনের প্রতি-
বালিকার চপলতা ছেড়ে দিয়ে তুমি
স্বামীর সংসারে এসো ছেড়ে পিতৃভূমি।
নারীর উপাস্য হলো তার প্রিয় পতি,
পতির ভালোবাসাই সতীদের গতি।


উভয়ের প্রতি-
বড়োই কর্তব্যপূর্ণ মানব জীবন,
এ কথাটি চিরদিন রাখিও স্মরণ।
      ঈশ্বরকে ভাব ভবে,
      সুখে দুঃখে সমভাবে;
ভক্তি-প্রেম রাখো দোঁহে প্রভুর চরণে,
লভিবে অক্ষয় শান্তি দাম্পত্য জীবনে।


সর্বদা চলিও দোঁহে ধর্ম পথ স্মরি,
বিমল আনন্দ পাবে দুঃখ যাবে সরি'।
       পরস্পরে হাতে ধরে
       হাসি খুশি রবে ঘরে
কর্তব্য পালনে কভু কবিও না ত্রুটি,
যতনে রাখিও সত্য, ভালোবাসা খাঁটি।


বাসররাত প্রসঙ্গে-
হাসো রে যামিনী আজ মাতোয়ারা হয়ে,
হাসো রে নীলাভ চাঁদ তারাদের লয়ে।
কাননে বিহগ হাসো বিহগীর বুকে,
বনতলে বৃক্ষ হাসো ফুলদল সুখে।


প্রার্থনা-
হে ঈশ্বর! তব পদে করি এ মিনতি,
সদা সুখে থাকে যেন নব এ দম্পতি।
জীবন-সংগ্রাম মাঝে করি' বিচরণ,
কভু যেন তোমাকে না হয় বিস্মরণ।


১৪/০২/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।