বর্তমানে কেমন আছো, প্রিয় প্রিয়তি?
এখনো কি নীলিমায় তারা-মেলা বসে?
এখনো কি সারারাত পাখি গান গায়?
সাগরের জলরাশি তোলপাড়ে নাচে
পাহাড়সম ঊর্মিদোলা নিয়ে তার বুকে?
কেমন আছো প্রিয়তি, দুঃস্বপ্নের রাতে?


প্রতিদিন খুঁজে যাই একাকী তোমাকে
চেতনের দৃঢ়তম গহীন অলিন্দে,
পৃথিবীর প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে।
প্রখর রোদ্রের দিনে খর মরুভূমে
তৃষ্ণায় ছটফট করি, ওষ্ঠাগত প্রাণ;
তিয়াস মেটাতে ছুটে যাই দ্রুততায়,
স্নিগ্ধ নিটোল শীতল জল সরবরে।
পৌঁছে দেখি তুমি নাই, শুধু মরিচিকা!


তুমি কি গিয়েছো ভুলে সে সব দিনের
কথা? রঙিন বলয়ে বাঁধা চারিধার!
পরস্পরে হাত ধরে হেঁটে গেছি দূরে,
বহুদূরে শ্যামলিমা পাহাড়িয়া পথে।
মাঝে মাঝে দুষ্টুমির ছলে, কৌতুহলে
জড়িয়ে ধরতে আমায়, বাঘিনীর মতো
নখের আঁচড়ে বলে যেতে কতো কথা,
যেগুলো অধরে বলা যায় না কখনো।


আজ রাত নেমে এলে স্বপ্নের ভেতরে
অতুলন মুখচ্ছবি ভেসে উঠে প্রিয়
কষ্টের বারুদ নিয়ে, দাউ দাউ জ্বলে।
দুঃস্বপ্নের শিহরণে রক্ত হিম করা
বিহ্বলতা! জেগে উঠে মনো কণিকায়।
ঘুম হরনীয়া প্রিয়া, জীবন বান্ধবী,
তোমার জন্য পৃথিবী স্বর্গ হয়েছিলো;
গন্ধমের খোঁজে ভাঙতে চেয়েছি নিষ্ঠুর
সমাজের দেয়াল, ক্ষুদ্র তুচ্ছতাচ্ছিলে।
কিছুই হলো না আর, আমাদের মাঝে
এখন বিরাজে সেই প্রাচীন সীমান্ত-
চীনের গ্রেট ওয়াল নিজস্ব প্রতাপে।


সুললিত পত্র লেখা হয় না এখন,
ঠিক আগের মতোন, স্বপ্নময়তার।
বৃষ্টিতে আর হয় না সৃষ্টি গোলাপের
ঝাড়, একাকার হয়ে যায় শ্রাবণের
ধারা নয়ন জলের প্রপাতের সাথে।
কেমন আছো প্রিয়তি,জগতের মাঝে?
আমি আজ ভালো নেই, আগের মতোন।