প্রিয়,
বর্ণীল এ শরতের প্রেমময় শুভেচ্ছা নিও।
আশা করি- ভালো আছো তুমি,
কামনা করি যে তা';
অনিন্দিতা পৃথিবীর মাঝে ছুঁয়ে আছো তুমি
এ আমার হৃদয়টা।
পরসমাচার এই-
আমি এখন একটুও ভালো নেই।
রাতের গহীনে নীল আকাশের বিপুল বিস্তৃত মাঠে
যখন মেঘেরা মেষেদের মতো দ্রুতলয়ে ছুটে যায়
এ বাড়ির উঠোন থেকে ও বাড়ির আঙিনায়;
তখন আমার মনটা বড়ো অস্থির হয়ে উঠে।
কখনো কখনো চিরন্তন উদাসিনী সে-ই পাহাড়ের মতো
হৃদয়ের মাঝে শত শত ক্ষত উপশমের ইচ্ছা নিয়ে
ঝর্ণার মতো নহর বহায়ে কেঁদে যাই অবিরত।
মাঝে মাঝে মনে হয়-
সাগরের বিরহ-বীণার সুরে সুরে অস্থির হয়ে
শয়নে স্বপনে তোমার কোমল ছায়াটুকু খুঁজে যাই।
আমার প্রতিটি হৃদস্পন্দনের আগে
রহিয়া রহিয়া বাজে বিবিধ ভঙ্গিমায়
তোমার সে নাম।
অতুল ব্যাকুল হৃদয়ের মাঝে অনিন্দ্যতায় জাগে
তোমারই চাঁদমুখ, ভুবন ভুলানো ঠা ঠা স্বরের হাসি,
লজ্জাতুরা রমণীর মতো অনিন্দ্য নিটোল চোখ,
আজো আমি ভালোবাসি;
ভালোবাসি অবিরাম।
হৃদয়ের আয়নায় যখন সে-ই মুখচ্ছবি ভেসে উঠে,  
কল্পনার আরক মেখে এ মরুময় বাস্তবিক জীবনে
তুলে নেই আমি; আমার সোহাগী করপুটে।


এখন আমার মনে হয়,  বড্ডো হিংসুটে হয়ে গেছি আজ,
জগত-প্রেমের বর্তনীতে লেগে আছে যত ঝুটা
সমস্তটুকু একা আমিই খাবো এবং খেয়ে যাবো চেটেপুটে।
কখনোবা তুমি পলকের তরে যদি
অন্য কোন রমণীর সাথে হেসে হেসে কথা কও
অথবা কখনো গদগদ ভাষে গল্পগুজবে মেতে রও
উথাল পাথাল হৃদয়ের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে আছড়ে পড়ে
প্রচণ্ড ঝড়- আইলা, সিডর!
জানি না আমি কেন যে এমন হয়?
ভেবেছি একান্তে নীরবে নিরলে বসিয়া অহর্নিশি
উত্তরহীন অশান্ত হৃদয় কেঁদেছে জগতময়
কেন যে এমন হয়!


আমার জন্যেই ধরণীতে তোমার জন্ম হয়েছে প্রিয়,
তাইতো তুমি আমারই প্রেম,
শুধু আমারই হৃদয়ের শ্যাম!
নিঠুরা এ প্রকৃতির খেয়াল, বড়ো অদ্ভুত খেলা!
সে খেলার খেলোয়ার হয়ে
আমরা দু'জন নদীর দু'তীরে করছি বসবাস;
তুমি আজ অন্যের ঘরে অনিন্দ্যতায় শোভা পাও।
তবুও বলি, ভালোবাসি তোমায়,
মালা গাঁথি জগতের সুরভীত রঙিন ফুলে ফুলে,
অপাপবিদ্ধ ভালোবাসা আজো রেখেছি যতনে তুলে
আমার প্রগাঢ় মর্মমূলে।
আজ এখানেই টানি ইতি-
তোমার প্রিয়তি।


০৭/০৯/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।