প্রিয়তি! ভোরের সূর্যোদয়ে পুষ্প-বিথিকায়
তরতাজা প্রাণের স্বপ্ন-লোকের মানস কন্যা তুমি।
বর্ণহীন এ জীবনে তোমার প্রেমের স্পর্শ-
অমৃতের স্বাদ আর ভালোবাসার উষ্ণতা;
এ পৃথিবীকে সুন্দর করে গড়ে তোলার স্বপন দেখায়
যে প্রেম; সে প্রেম উন্মাতাল সঙ্গমের চাওয়া-পাওয়া নয়।


এক আকাশের সূর্যালোক তুমি; যদি ফিরে এসো
মেঘনার তীরে শ্রাবণের রক্তিম সন্ধ্যায়,
সে রক্তাক্ত ক্যানভাসে এঁকে যাবো জীবনের চারুপাট;
পুঞ্জিভূত অভিমান তুলে দেবো বিপন্ন শঙ্খচিলের ডানায়;
অতঃপর, শ্রাবণের ঢলকে নামাবো কদমের বনে।
জীবনের শাশ্বত দুঃখের কঠিন শিলাপ্রস্তর
মেঘের অশ্রুজলে বিগলিত হলে,
আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভালোবাসার জ্যোৎস্না
পান করে যাবো, পৃথিবীর বুভুক্ষু প্রেমিকের মতো।


প্রিয়তি! হে চন্দ্রাহত ভালোবাসা!
অন্তহীন নিঃসঙ্গতা নিয়ে নির্বান্ধব পড়ে আছি
জ্যোৎস্না মাখানো নিথর নিশীথে নীলকণ্ঠ কৌতূহলে;
অসমাপ্ত কবিতার দুঃখবোধের যন্ত্রণায় ছটফট করি আজো।
প্রেম ও পাপের অক্ষরে লেখা ভালোবাসার কবিতা নিয়ে
জীবন সৃষ্টির নেশায় তোমার সম্মুখে দাঁড়াবো একদিন
মেঘ আর রোদ্দুরের স্নান সমাপন শেষে।
জীবন-মৃত্যুর মাঝের সময়ে কোন এক ঝিল্লিমূখর বর্ষার দিনে,
এক মুঠো রক্ত করবী আর কিছু বৃষ্টি-স্নাত কদমের ফুল
তোমাকে নৈবদ্য দিয়ে, হাঁটু গেড়ে উচ্চারণ করে যাবো-
'তোমাকেই ভালোবাসি।'


২৮/০৭/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।