আজো তুমি বেঁচে আছো শতাব্দীর প্রোজ্জ্বল জীবনে
রূপান্তরিত শোভায়। সুরছন্দে, সঙ্গীতের তানে,
আরক্ত রক্তিম ঠোঁটে ধরে রাখো নারীর চেতনে-
ভালোবাসা যার নাম; মানবিক মহিমার গানে।
মূল্যহীন জীবনের স্তরে স্তরে, স্বপ্নের বেদীতে
কোমল শিখার মতো জ্বলে উঠো হিমেল সন্ধ্যায়,
অলৌকিক জীবনের ভাবনায় শোভাময় চিতে
সুনিবিড় সম্ভাবনা তুলে ধরো চোখের তারায়।
টলোমলো অশ্রুবিন্দু মুছে দেয় সুললিত হাত;
তুমি রাত্রির উপমা- শব্দহীন আকাশের চরে
শিল্পীর প্রজ্ঞায় সৃষ্ট নিসর্গের অলৌকিক চাঁদ।
চিরন্তন অষ্টাদশী, শ্রাবণের নদী-সরোবরে
অনিন্দ্য উর্মীর দোলা। অন্ধকার অরণ‌্যে, শিশিরে
সৃষ্টি করো অবিরাম জ‌্যোতির্ময় স্বরধ্বনি। দূরে
যতোবার ফিরে যাই চুপিসারে আপনার নীড়ে;
চন্দ্রমল্লিকার বনে, সঙ্গোপনে, সঙ্গীতের সুরে,
দুর্দান্ত গভীর প্রেমে, চতুর্দিকে আলোকের জ্যোতি
জ্বেলে, টেনে নাও বুকে, জ্যোৎস্নার গভীর অরণ‌্যে।
তুমি এক হিরন্ময় আকর্ষণ, প্রাণিত প্রিয়তি!
দিবানিশি ডেকে যাও পৌরানিক বসন্তের জন্যে।
অসহিষ্ণু ভ্রমরাকে স্তব্ধ করো শুষে নাও ভ্রান্তি,
মোহময় জীবনের মাঝে এনে প্রগাঢ় প্রশান্তি।


১১/০৩/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।