রহমগিরির অনিন্দ্য সুন্দর ষড়চালা
রঙিন কাঠের পাটাতন
তার উপর বজ্রাসন ভঙ্গিতে একা বসে আছি
চারিদিকে নিরিবিলি কোথাও কেউ নেই
কান ঝালাপালা করা কত যে পাখির ডাক
তাদের কথাগুলো আলাদা ফারাক করার জো নেই
কর্কশ স্বরের ঝিঁঝিঁপোকা নিরবচ্ছিন্নভাবে ডেকে যাচ্ছে
নাকি, তাদের বিরহ-বেদনার কান্না শোনাচ্ছে!
আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে হু হু করে
ছুটে আসছে শীতল বাতাস।
চারিদিকে পাহাড়ি গাছের সমারোহ নয়;
সযত্নে রোপিত দেশি-বিদেশি শোভাময় বৃক্ষরাজি।

রহমগিরির পাদদেশে রাবার বাগান
মজবুদ কান্ড নিয়ে আকাশ বরাবর দাঁড়িয়ে আছে
ধারালো ছেনির শৈল্পিক আঁচরে  
তীর্যকভাবে কাটা হয়েছে গাছের ধৃসর শরীর
সাদা রঙ রক্ত গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে  
রাবার গাছের চেড়া বুকের তোরঙ্গে কষ্ট জমে
তা' গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে কালো পাত্রে।
রাবার বাগান দেখলেই তোমার মুখের ছবি
আমার সম্মুখে স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে
এমনই করে কেটে যাচ্ছো প্রতিনিয়ত
তীর্যকভাবে তীক্ষ্ম ফলার কথার ছুরিতে
আমার ললিত চিন্তার এবং ভাবনার শোণিতধারা
গড়িয়ে গড়িয়ে মিশে যাচ্ছে
বেরহমের বিশাল সামুদ্রিক পাত্রে।


১৪/০৫/২০২২
কোয়ান্টাম হেডকোয়ার্টার
সরুই, লামা, বান্দরবান।