এখন দুপুর বৃষ্টি-নূপুর তুলছে মধুর ঐকতান,
বাদল ধারায় মন যে হারায় প্রেম যমুনায় ঝড়-তুফান।
তীব্র বেগের শ্রাবণ মেঘের বিষাদ ত্যাগের হাপিত্যেশ,
মন যে আমার জমিন খরার চায় যে তোমার অশেষ দান।


বিকেল বেলার পড়ন্ত রোদ শার্সি কাঁচে ডালিম ফুল,
চৈত্রদিনের তীব্রদহন জতুগৃহে হই ব্যাকুল।
বাঁচার জন্য প্রার্থনা আজ তোমার প্রেমের শ্রাবণ জল,
মর্ত্যলোকের নরক-খাদে তুমিই আমার সুখের মূল।


আমার চেতন গ্রাস করে নেয় তোমার দেয়া বজ্রপাত,
নির্ঘুমতার কষ্ট বাড়ে নিঃসঙ্গতার গহীন রাত।
চন্দনে আজ আগুন লেগে বিলায় না আর খুশবো তার,
শূন্যলোকের অন্ধকারে তাই করি আজ প্রণিপাত।


রূপের তেজে মজলি রে মন, গুণের ছটা দেখলি না,
কায়েস কেনো মজনু হলো, তা থেকে তুই শিখলি না!
পুড়লে আগর খুশবো ছড়ায়, পুড়লে গোলাপ চোখ জ্বলে;
গুণ বড়ো ধন রূপের চেয়ে, কথার মূলে ঢুকলি না।


স্বপ্নবিলাস আর কতোকাল চলবি রে মন ভূধরে?
আসলো যারা গেলো তারা রইলো না কেউ ভুল করে।
যাত্রাপথের যাত্রী সবাই সরাইখানায় অল্পক্ষণ,
অনন্তলোক পাড়ি দিতে ছুটতে হবে সব ছেড়ে।


তোমার চোখে স্বর্গ-বাগান অতুল রূপের পারিজাত,
ঝরছে দেহে অলোক-বাগান, সুবাস মাখা জলপ্রপাত।
চমকে ওঠে সে রূপ দেখে সকল কায়েস মজনু হয়,
তোমার রূপে মন যে তাঁদের হয় মোহিত অকস্মাৎ।


প্রিয়ার চেয়ে আপন যেন এনড্রয়েড ফোন এই জানি,
সুখের সময় বুকে রাখে, দুঃখেতেও নেয় টানি।
বন্ধুরা সব কয় না কথা ব্যস্ত সবাই ভার্চুয়াল,
ইন্টারনেট, মোবাইল মজার, খাওয়ার চেয়ে ভাত-পানি।


রাত্রী এখন বড়ো আপন ঘুম আসে না দুই চোখে,
নির্ঘুম রাত কাটিয় দিয়ে ঘুমায় দিনে ঘোর সুখে।
কিশোর, বুড়ো, পৌঢা, জায়া রাত্রি কাটায় ব্যস্ততায়,
এমন ক্ষতিকারক মোবাইল বর্তমানে কে রোখে?


ফুল বাগিচার রঙ্গিন ফুলে ব্যাকুল কবির প্রাণ ও মন
গন্ধে আকুল ফুলের আশায় মুগ্ধ রয় সে সারাক্ষণ।
নিজ বাগানে ফুল সাজাতে চায় না ফিরে একটুও,
পরের ফুলের আশায় কাটায় মিথ্যে এমন কূট-জীবন।


অরূপ প্রেমের ঝর্ণাধারায় নিত্য গাহন চায় যে মন,
মেঘ বালিকার কোমল পরশ চায় যে জীবন অনুক্ষণ।
ভিজলো সকাল, ভিজলো দুপুর দিনের শেষের সন্ধ্যাতে
সরাব সূধায় করতে মাতাল আসলো না তাই কাঁদছে মন।


একশ আটটি গোলাপ দিলাম পূর্ণীরাতের জোছনাতে,
সরাব মাতাল চায় হতে মন হাত রেখে ওই নীল হাতে।
কিন্তু সে আজ আগেই মাতাল নাচছে উদোম ঘূর্ণিবায়,
হতাশ হৃদয় ভাবছে এখন রাত্রি কাটবে কার সাথে?