ঘুর্ণিবায়ুর 'সিত্রাং' ঝড় তোলপাড় করে চলে গেছে,
গুমোট আকাশে আলোর ঝলক উজ্জ্বল হয়ে হাসিতেছে।
হাসিতেছে গাছ, হাসিতেছে নদী, হাসিতেছে সারা প্রকৃতি,
যদিও, সিত্রাং প্রচণ্ডতায় করে গেছে কতোই ক্ষতি।
পাখ-পাখলিরা ডানা ঝাপটায় বৃক্ষ শাখায় আনন্দে,
মেঘের কন্যা ছুটি পেয়ে বুঝি আজিকে উড়ে যায় ছন্দে।
গোয়ালের গরু হাম্বা হাম্বা রবে ডেকে যায় অহরহ,
দু'দিন কেটেছে দড়ি বাঁধা হয়ে, বন্দী জীবন দুঃসহ!
বন্দী জীবন চায় না কেউতো, স্বাধীনতা চায় পশু-পাখি,
পোকা-মাকড়ও সুদিনের তরে নিজেদের স্বরে যায় ডাকি।
আলোর পরশে ভীষণ হরষে প্রকৃতিতে পড়ে হৈ চৈ,
ক্রিকেটের ব্যাট-বল লয়ে খোকা খুঁজে তার বন্ধুরা কই।
ঘুম ভেঙে যেন জেগে ওঠে গ্রাম ঘরে ঘরে সবে ব্যস্ত,
ডাকছে পরস্পর মাঠে যেতে, বৃষ্টি-বাদল শেষ তো।
পোয়াতি ধানের শিষগুলো আজ শুয়ে আছে মুখ থুবড়ে,
কৃষকের বুকে হতাশার ছবি, ব্যথা বাজে তাই খুব রে।
কৃষাণির চোখে বিষাদ জমছে আগামী দিনের চিন্তায়,
ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাঁচবে কিভাবে ভেবে ভেবে সারা দিন যায়।


২৬/১০/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।