নীল জ্যোৎস্নার ফুল ফুটেছিলো সে ভাদ্রের রাতে,
বাতাস বইছিলো মৃদুমন্দতায় আনন্দ-হিল্লোলে,
চরাচরে নেমেছিলো স্নিগ্ধতার গভীর প্রশান্তি।
তখন পাখিরা ছিলো ঘুমঘোরে, ঝিঁঝিঁদের গান
বন্ধ হয়েছিলো; পোকামাকড়ের সকল গুঞ্জন-
তাদের বাঁশির গান, আনন্দের সুর- কলতান,
অথবা দুঃখের লহরী সব হয়েছিলো সমাপন।
এমনই নিঃস্তব্ধ রাতে, অনিন্দ‌্য সুন্দর তুমি, নেমে
এলে গোপনে, পা টিপে ঘরের আগলখানি খুলে।
তুমি বসেছিলে পাশে, দুর্বঘাসে, আমিও ছিলাম;
হাসি নেই, দুঃখ নেই, নেই কোন আনন্দ-বেদনা;
অপার্থিব মোহময় জগতে যে যার মতো করে।
পরস্পরে হাত ধরে কল্পলোকের ছায়ায় বসে
দেখি, চন্দ্রবালিকার হাসি খেলে জলের তলায়।
সোহাগী প্রাণের পরশন দিয়ে মাতালে আমায়;
অতঃপর, ভোর হলো, আলোর প্রভাবে ছিঁড়ে গেলো
আমাদের অপার্থিব প্রণয়ের সমস্ত বলয়।
বেদনাকে চাপা দিয়ে আজো ছুটি, বড়োই একাকী!


২৬/১০/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।