'ওষ্ঠ স্পর্শহীন' (আবৃত্তি করার সময় বাচিকশিল্পীর দুই ঠোঁট একত্রে মিলন হবে না) কবিতার ধারণা দিয়েছেন কবি আব্দুল মালেক মানিক।
'সুখ অন্বেষণ' কবিতাটি কবি আব্দুল মালেক মালিককে উৎসর্গ করা হলো।
--------------------------------------------------
সংসার-কথা নিটোলজনের হলে,
হাসির ছোঁয়ায় হৃদি হাসে ধরণীতে;
শঙ্খচিলেরা দূরে যায় ডানা খুলে,
সুখের ডঙ্কা জাগে কলকাকলিতে।
দুঃখ-নদীটা ছুটে চলে দূরে দূরে,
অজানার দিকে হারায় যে তার ধারা;
স্বচ্ছতোয়ার জল চলে সুরে সুরে,
চিত্ত তখন আকুল, আত্মহারা।
জলের শরীরে জলের নাচনা দেখে,
দুঃখীজনেরা খুশিতে আকুল হয়;
স্বজনের চোখে আনন্দ-চোখ রেখে,
সায়াহ্নে এসে চিত্তের কথা কয়।
আকাশে তখন তারার নৃত্য চলে,
তৃণ-লতা-গাছ নেচে উঠে অহরহ;
সুখধ্বনি জাগে হৃদে, জলে-স্থলে,
ধরণীটা তখন হয় না যে দুঃসহ।


কতোকাল গেলো সুখেদের খোঁজে, হায়!
সুখ যেন এক অধরা সোনার হরিণ;
এখানে ওখানে জঙ্গলে ছুটে যায়;
আশায় আশায় খুঁজি তারে সারাদিন।
সঞ্চিত যতো শক্তি-সাহস নিয়ে
ধরতে যে চাই কাঙ্খিত সুখ-ছায়া;
সারা দিন ধরে তীর ও ধনুক নিয়ে
খুঁজে যাই শুধু সোনার হরিণ-কায়া।
কোথায় রে সুখ! হাহাকার উঠে যখন,
অসত্যের চঞ্চলতা শুধুই জাগে;
সকল চেতনা দুরে ছুঁড়ে দেই। তখন
সুখ খুঁজে যাই ঈশ্বর-অনুরাগে।
এখানেও দেখি, স্বর্গ-নরক দোলে,
তর্কাতর্কি করে যায় অনুক্ষণ;
অসার দেহের অলস নয়ন খুলে
ক্ষ্যান্ত করি যে সুখের অন্বেষণ।


০৯/০৬/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।