(শিল্পী বারী সিদ্দিকীর প্রয়াণকে স্মরণ করে লেখা।
শিল্পীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।)


সুয়াচান পাখি!
পিঞ্জর ভাইঙ্গা চইলা গেলা; তোমারে যে ডাকি।
এ মাটির  মালিকানা লয়ে কতো বাড়াবাড়ি!
কতো কাড়াকাড়ি!
অবশেষে, সবশেষে অঘোরে ঘুমায়-
সাড়ে তিনহাত মাটির ভেতরে!
ওরে, সুয়াচান পাখি।


ডাকাতিয়া বাঁশির সুরের মোহনীয় ডাকে,
বন্ধ করে বেচাকেনা ভবের এ হাটে;
গানের পাখির সুর বন্ধ হলো আকাশে বাতাসে,
লোবানের গন্ধ ছড়ায় নিঃশ্বাসে!
নীরবে সকল নীরব করে চলে গেলা দূরে।
এখন কোথায়, তোমারে যে পাই? যাই যে ডাকি।
সুয়াচান পাখি!


এতোদিন ছিলে কারাগারে দুঃখ নিয়ে বুকে.
'মানুষ' ধরার কারিগর হয়ে সুরের সঙ্গীতে;
প্রেমের উৎসব, আনন্দের বসতবাড়ি,
ভাবের লিলুয়া বাতাস, সমস্ত কিছু ফেলে,
মনে বড়ো জ্বালা লয়ে কাঁদিছে আকাশ
শ্রাবণ দিনের মতো, সূর্যালোক ঢাকি।
শুয়াচান পাখি! পিঞ্জর ভাইঙ্গা কোথা গেলা?
আমি যে তোমারে ডাকি-
সুয়াচান পাখি!


২৫/১১/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।