তোমার কোমল হাত জনারণ্যের ভীড়ে
যখন, এ হাত আলতো করে ছুঁয়ে দেয়;
তখন, ঝুপ করে ঝরে যায় চল্লিশ বছর-
এক নবুয়তি কাল।
কাজল চোখেতে দেখি স্থীর বিদ্যুৎলতা,
ধীরে ধীরে চিড়ে যায় ভয়কাতুরতা,
হাজার বছরে জমা হয়েছে যা'
ঝরে যায় সব কিছু এই মন থেকে।
মরাল গ্রীবায় জাগে স্বচ্ছতোয়া স্রোতবহ,
চিবুকের তিলে হাসে স্নিগ্ধতার পূর্ণিমার চাঁদ,
ঠোঁটের কিনারে জাগে অতল সাগর।
পাথরের ন্যায় ক্রমে ডুবে যাই;
অনিন্দ্য সে সাগরের মসৃণ জলের গহীনে।
ভাসাও আমারে তুমি পালকের মতো,
মনোরম স্নিগ্ধ অন্তহীন মধুর আবেশে।
রাতের প্রহর কাটে শিশিরের বেদনার গানে,
স্বপ্নের ঘোড়ায় চড়ে ত্বরিতে চড়িয়া যাই
তেপান্তরের মাঠের পানে;
নিঝুম দ্বীপের শান্ত নিরিবিলি, অন্তরালে।
নির্ঘুমের যত ক্লান্তি সব ভীড় করে
বিবশের মতো পড়ে থাকি সারাদিন।
মাতালের স্বপ্নঘোরে ঝিমুতে ঝিমুতে স্বপ্ন দেখি
তোমার রূপের অমোঘ মদিরা পিয়ে।
আর কতোকাল রবে,
অয়োময় সে কপাট বন্ধ করে
সূর্যহীন অন্ধকারে?


২০/১২/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।