তারা চলে যায় দূরে জীবনের ধুলি দু'পায়ে মাড়িয়ে,
রূপের ঝংকার তুলে; বণিকের পসরার ছায়াতলে।
বকুল ফুলের মালা ফেলে, নেয় তুলে সুবর্ণের সীতাহার!
সরস পিরিতি ছেড়ে; জটিল দুর্বোধ্য প্রেম খুঁজে খুঁজে
ক্লান্ত হয়, বিষন্নতার একাকীত্বে সময় কাটায় আলস্যময়।
বেলোয়ারির টুংটাং বাজে না তাদের হাতে- মধুর সিঞ্জিনী;
কনক শিকলে অন্তরীণ গৃহকোণে, পরাভূত জীবন-যাপন।
অ-সুখের মেদ জমে স্তনে, নিতম্বে, চোখের কোণে,
একাকীত্বের বেদনা চিড়ে চিড়ে খায় দুর্বহ সময়ে;
তখন পিছনে ফিরে তাকায় বেতস ফলের নয়নে।


হায়! জীবনের সুখ নিতান্ত ভঙ্গুর! বুঝে অবেলায়;
চিত্তবিহীন জীবনে বিত্তের পরশে সুখ নাই, স্বস্তি নাই।
ফিরে আসে আবার ভাটির নদীর জলের ছোঁয়া পেতে,
সুখের স্নানের প্রত্যাশায়, উজানীর গান সুরে সুরে গায়।
সময়ের দুর্বৃত্তায়নে দুঃস্বপ্ন জাগে; জোয়ার আসে না,
বান ডাকে না; কষ্টের ধুপ জ্বলে যায় গোধূলি বেলায়;
কতো শত স্মৃতি গড়াগড়ি খায় জীবনের পাটাতনে;
তারা চলে যায়, ফিরে আসে আবার যাতনা নিয়ে বুকে।


১৮/০৭/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।