তুমি যেনো মণিখচিত সোনার অলঙ্কার, বনেদী ঘরের ভালোবাসা।
তোমাকে পাবার জন্য কতো চোর-ছেচ্ছোর-ডাকাত
তীব্র শীতের রাতেও জানালার পাশে অপেক্ষায় থাকে;
কখনও কখনও তারা খুনি হয়ে যায় তোমার আশায়।


তুমি যেনো সৌন্দর্যমণ্ডিত কল্যাণকামী একটি মদের বোতল-
যার ভেতরে অপূর্ব স্বাদময় গন্ধমের সুবাসিত রস,
একজন প্রণয়ীকে মাতাল করার জন্য যথেষ্ঠ মাপের
অদৃশ্য কারণ-সুধা ভরা আছে, বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে।


তুমি যেনো মোহনীয় কারুকাজের একখানা চলমান তরণী,
বৈতরণী নদী পার করে নাও নিমেষেই; অতঃপর, অলোকানন্দার তীরে;
স্বর্গ-মর্ত্য একাকার করে ছুটে চলো দ্রুতলয়ে,
সাঁতার-অজানা পারাপার প্রত্যাশী প্রণয়ীকে সাথে নিয়ে।


ভাবনার সকল সদ্ব্যবহার করে তোমাকেই পদপ্রদর্শক হিসেবে,
তোমার নেতৃত্ব মেনে নিলাম জাগ্রত চেতনায়;
আমার সকল সূর্যালোক প্রবাহিত হোক তোমাকেই ঘিরে;
তুমি শাশ্বত প্রিয়তি, বিশ্বভ্রহ্মাণ্ডে! আমি তোমাকেই ভালোবাসি।


১০/০৫/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।