ব্যস্ত ফুটপাতে চোখ খুলে দেখি
কিশোরী মেয়েটি সাজে
সস্তা পাউডারে
রক্তমাখা লিপস্টিক ঠোঁটে দিয়ে,
চুমকিও দেয় গালে!
বেতস ফলের মতো বিষন্ন চোখেতে
আলোর ঝিলিক খেলে
সে-ই সব নষ্ট পুরুষের পরশের তরে;
যারা টাকার প্রভাবে সুখের বাটি উপুড় করে
সুখ পেতে চায়।
এহেন সান্ধ্যকালীন রূপচর্চাতে সে মগ্ন!
এ যেনো সজোরে কঠিন চপেটাঘাত
উন্নয়নের শ্লোগান তোলা বিলাসী সমাজে।


চাঁদ নিয়ে কাব্য করা শেষ হয়ে গেছে
সেই কবে!
সুকান্তের কাল থেকে।
আদ্যিকালের বদ্যিপাড়ায় নেমেছিলো চাঁদ
রূপের ঝলক দিয়ে যে-ই কালে;
আজ চাঁদে নেই কমনীয় নারীর রূপময়তা।
বুবুক্ষের কাছে
বসন্তের
বৈশাখের
কি'বা মূল্য আছে?
একাকার হয়ে যায় ক্ষুধাতুর যন্ত্রণায়।
এখানে প্রভাত নেই
আজীবন রাত
এখানে মানুষ-প্রাণ
অসহ্য অভিসম্পাত!


আজ সকল চোরাচালানী
মাদক-ইয়াবা ব্যবসায়ী
যুথবদ্ধভাবে টাকার পাহাড় গড়ে;
ঘুসের বাণিজ্যে সয়লাব
এই রাষ্ট্রের অন্তর।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে
ক্ষুধাকাতরের তীব্র হাহাকার!
ভয়াতুর প্রাণে নিঃশব্দে কান্নারা জমে;
অথচ, সকলে  
সমস্বরে বলে যায় হাসি মুখে -
ভালো আছি
উন্নয়নের সোপানে হেঁটে হেঁটে
ক্লান্ত, জীর্ণ, শীর্ণদেহ;
ঝুঁটাপুটা আধাপেটা খেয়েদেয়ে বলে যায়-
ভালো আছি
ভালো আছি পাস্তুরিত দুনিয়ায়।


১৯/০১/২০২০
মিরপুর, ঢাকা।