ভালোবাসা যেন এক নির্দোষ নিরীহ
প্রদীপ্ত প্রত্যয়; যে সর্বসময় শুভ্র
সৌন্দর্যে পদচারণা করে বিশ্বময়;
তারকাভরা মেঘহীন উজ্জ্বল আকাশে,
সমুদ্রজলের দৃপ্ত তরঙ্গমালায়,
অশোক বনের ঘন গহীন অরণ্যে।
গভীর অন্ধকারের নমনীয় তীব্র
আলোর রশ্মিতে, রমণীয় দৃষ্টিভঙ্গি
পরিহারে, সাবলীলভাবে অস্বীকার
করে স্বর্গের গর্বিত দিন সর্বলোকে;
আদম-হাওয়ার সর্বাঙ্গসুন্দর স্মৃতি।
গন্ধম যেন অনন্ত আশির্বাদে সৃষ্টি
করে চারুজীবনের অনাবিল সুখ!
চিন্তার ভেতরে বিশুদ্ধতা, শান্তিময়
জলের প্রবাহ বহে ধীরস্থিরভাবে;
নির্দোষ ভালোবাসার অঞ্চলে, প্রান্তরে।


রূপের উপমা তুমি, হে যৌবনশালিনী!
টোলপড়া গালে স্নিগ্ধ যে নরম হাসি,
অশান্ত হদয়কে গ্লানীমুক্ত করে দেয়,
প্রশমিত করে বিজিত যুদ্ধের ক্রোধ,
সিদ্ধিলাভের প্রেরণা-শক্তি আনয়নে;
চির বিজয়ের পথে অগ্রসর হতে
নিয়ত উদ্বুদ্ধ করো কনকবর্ণাঙ্গিনী,
বিশালাঙ্গী, প্রিয়তোষ প্রিয়তি আমার।
নির্দোষ পরম ভালোবাসার স্পর্শেই
গর্ববোধ করি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মাঝে।
শুধু অনুভূত হয়, এ মেদিনীকুলেে
বহু পত্নী পাওয়া যায়, বন্ধু পাওয়া ভার।


০৫/০৪/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।