আমি মুসাফির ছেড়ে নীড় চলছি পথে পথে
চলছি একা একা,আকা বাকা পথে,
চলছি চলছি, খুব সকালে নগ্নপায়ে
শিশির ভেজা ঘাস মাড়িয়ে
ফসলের মাঠ পেরিয়ে
লক্ষ্যপানে।
ফালগুনের আগুন মেখে চৈতি হাওয়ায়
উত্তপ্ত রৌদ্র ,ছায়ায় ,বৈশাখী ঝড়ঝাপ্টায়
বজ্রপাতে দলে।
বন-বনানী পাহাড় ঝর্ণা নদীর তীর ধরে
হাঁটতেছি জনহীন শুন্য প্রান্তরে প্রান্তরে
অাষাঢ়ে বর্ষায় হাওরে বাওরে নৌকায়
দ্বার বেয়ে বেয়ে
সারি গান গেয়ে।
চলছি আমি শেষ বিকালে গোধুলী বেলায়
দিবাকর ডুবে যায় দিগন্তের শেষ যেথায়
আকাশের সীমানায়,
শেষ বেলার শেষ আলোকচ্ছটা সারা আকাশটা
ছড়িয়ে দেয় মায়া রক্তিম আভা।
ঝিরি ঝিরি বাতাস বহে ধীরে ধীরে
সন্ধার আগমনি গান গেয়ে গেয়ে
পাখিরা নীড়ে ফেরে আপন ঠিকানায়
শুধু আমি চলি দুর-অজানায়, অলিক ভাবনায়,
ঘর হারা বাঁধন হারা ।
সন্ধা নেমে আসে অস্তচল আকাশে
একখানি তারা প্রকাশে
ঐ তারার পানে থাকি চেয়ে,
অল্প স্বল্প গল্পে মাতি
শুধাই তারে বলবে কি আমারে
দিন-রাতি যারা ছিলো ক্ষণিক সাথী
স্বার্থ সিদ্ধি শেষে ছেড়েছে আমায় হেঁসে
ফিরেছে নীড়ে, দুরে ছুড়ে
পাইনি কখনো বন্ধু করে,
তুমি ও কি যাবে এমনি করে?
হেঁসে বলে সন্ধা-তারা আমি আপন হারা
দিগন্ত তীরে সন্ধায় আসি ফিরে ফিরে
আমাকে যায়না বন্ধু করা !
সহসা তরিঘড়ি আসে বিভাবরী
আমি হই সঙ্গিহীন চলি অন্তহীন।।