১.
সন্ধ্যায় নীড়ে ফিরছে পাখি
জলে ঘাসফড়িং এক ঝাঁক
বুড়ো মাঝি কাঁদছে দেখে
রক্তাক্ত উদাম মেয়েটির লাশ।


২.
পাড়ার মোড়ের গলি, সকালে
হেঁটে স্কুলে যাচ্ছে নতুন বউটি
আঙুলে চুমু দিয়ে হাসছে
বুড়ো ভুঁড়িওয়ালা লোকটি।


৩.
বৃষ্টির পানিতে রাস্তা থইথই
অমলদা বাড়ি ফিরছে বহুদিন পর
শিশুকে কোলে নিয়ে নাচছে হিজড়েরা
শ্বেতাঙ্গিনী মেয়েটি দেখছে ব্যস্ত শহর।


৪.
সবুজ ঘাসে বসে একটি পুরুষ
পাখি নেই গাছে ঝরছে পাতা
যেখানেই তাকায় আকাশ জমিন আছে,
মনে নেই পিতার মুখ।


৫.
উড়ে যাচ্ছে কাক রোদের ঝাপটা চোখে
কাপড় নাড়ছে নারী দুপুরে ছাদে
বক্ষবন্ধনি ঝুলে আছে দেখে
পড়শী ছেলেটি দূরে মুচকি হাসে।


৬.
সাপ আর ব্যাঙের মাঝে শুয়ে আছে মাছ
বাইরে নৌকোর গলুয়ে জোস্নার চলাফেরা
হাতকড়া ছাড়া রোমশ রাতটা চলে যাক
আজ নাসারন্ধে চাইনা বন্দুকের ধোঁয়া,থাক।


৭.
বিছানায় নারী পুরুষের গোঙানিডাক
গলায় পেঁচানো রঙিন শাড়ির আঁচল
বর্ষাতি ভোর রাতে কুকুরের চিল্লানিতে
ধমনীতে সাঁতরায় কেন পায়রার দল।


৮.
বৃষ্টির প্রতিধ্বনি আমিও জানি
নাচে ফুসফুসে রোজ
বগলে গুঁজে গোলাপি ফুল
শহরে শহরে প্রেমিকাকে খুঁজ।


৯.
শববাহকের কাঁধে মৃত লাশ
সবাই সঙ্গে নিয়ে হাঁটছে
দোষ গুণ যা ছিলো চলছে বলাবলি
আগুন বলেনি মিথ্যা কাউকে।


১০.
শুনেছি প্রেমে ঠাসা ছিল মেয়েটি
গতরে ছিল বারো মাস জোনাকি
পুষে ছিল অন্ধকারে প্রতিবিম্ব পুরুষ
কে জানতো তার ফুসফুসে রক্তের দোষ।


কবিতা : দশটি রঙ তুলির মানুষ
লেখক : অপূর্ব দাস