আষাঢ় মাসে গাঙে আইলো নয়া বানের
পানি
আমার ভিটেমাটি বাসাইয়া নিল গৃহত্যাগী
নদী।
নদীর যদি চিনতাম বাড়ি করতাম গিয়ে
নালিশ
কেন সে ডুবাইলো সব আমার অন্তর করলো
বিষ
হালের লাঙ্গল নতুন ফসল নয়া দুইখান
গরু
দেখতে দেখতে ডুইবা গেল ছোট্ট বোনটা
তরু
নদীর টেকে বইসা কান্ধে মা, কান্ধে বুড়া
বাপ
মনে মনে নদীরে কয় তরে দিলাম
অভিশাপ
সর্বগ্রাসা রাক্ষসী তুই থাকবি চির
দুখে
আবার আমি ঘর বানাইবো তোর চিতল
বুকে
নদী কয় দুঃখে,বেদের মত যাযাবর রই
আমি
উজান থেইকা আসে জল আসমান হয়
খালি
নামে শুধু নদী আমি জল তো আমার
নয়
আমারও দুঃখ আছে, বুকের মধ্যিখানে
ক্ষয়
এপার ভাঙি ওপার গড়ি নেইতো কারো উপর
খেদ
জন্মই আমার ভাঙা গড়ার, জানিনা অহর্নিশ  
ভেদ


আমার আছে বসতভিটা নদীর অথৈ
জল
হিসেব করে দেখি নদীর আমার চেয়ে
বল
চৈত্র মাসে হাঁটি যখন আমি নদীর
বুকে
পাষানিয়া মন কি বুঝে নদীর দুঃখ
কিসে
নদী বাঁচায় নদী মারে নদীই করে
গৃহত্যাগী
নদীরে তোরে ছাড়া আবার আমার জীবন আধাআধি।


কবিতা : গৃহত্যাগী
লেখক : অপূর্ব দাস