যদি একবার তোমার ভেতরে ঢুকতে পারতাম, গাছের শিকড় যেভাবে ঢুকে ইট পাথরের বুকে
তবে সারাটাজীবন বিকশিত হতাম হৃদয়ে নিরাপদে সুখেই থেকে যেতাম ফুলের গন্ধ শুকে
তোমার চিবুকে আমি প্রেমিক হয়ে উঠতাম
আরেকবার,চোখের তারায় চাষ করতাম ঝর্ণা
দু'চোখে জল পুষতাম যত্নে, নিয়ম করে স্নান করতাম নিত্য
বকুল ফুলের গন্ধ নিতে নিতে ভাবতাম
আজ তোমার কত তম জন্মদিন গেল?
আর তোমার স্নান করা চুলের গন্ধ খুঁজে বেড়াতাম আজীবন।


এলোমেলো দুঃখদের ভাঁজ করে রাখতাম
একান্ত গোপন ঘরে
ছুঁতে দিতাম না তোমার মনের চৌকাঠ
হাজার বছর পেরিয়ে গেলেও তোমার বুকের কাছে চাইতাম মালিকানা
মানুষের জীবনচক্র ক্রমে ফুরিয়ে যায়
মাতালের মদের গন্ধে জেগে উঠে ভোর
হৃদয়ের আত্মহত্যা তাই চাইতে পারিনা
তোমার সহস্র ভালোবাসার লোভে
তোমার কাঁধের উন্মুক্ত অবিন্যস্ত চুল
ছন্দময় প্রেমের কবিতা লিখে যাবে আমার
চাতক চোখে


যদি তোমাকে পড়তে পারতাম কিতাবের মতো উল্টেপাল্টে, খুঁজে পেতাম তোমার মনের ভাষা, হৃদয়ের জ্যামিতিক সংকেত
তবে তোমার সাথে কভু হতো না আমার বাক্যের অমিল, রাগঅনুরাগ,বিরহ, বিচ্ছেদ


কবিতা : সহস্র ভালোবাসার লোভে
লেখক : অপূর্ব দাস