এক গায়ের ই একটি ছেলে দেখিতে ভীষণ কালো -
সেই ছেলেটি,পল্লীগীতি গাহিতো বড্ড ভালো ;
না ছিলো তাহার আপন কেহ,না ছিলো তাহার আপন কোনো ঘর -
জীবন তাহার ছিলো একার ,সবাই ভীষণ পর ;
না করিতো কর্ম কিছু গাহিতো শুধু গান-
বুক ফুলায়ে সুখ নিতো সে,দিয়ে তামাক টান;
সবসময়ে মুখটা তাহার,থাকিতো বড্ড ভার-
ছোট্টোবেলায় হারায়ে সে আপন পরিবার;
চলিতো সে খেয়াল-খুশি আপন ও মতন –
ছিলো না তাহার নিজের প্রতি নিজের কোনো যতন!
চুলগুলি তার উস্কো-খুস্কো,থাকে পাগলের যেমন –
গান ছাড়া যে আর কিছুতে বসিতো না তাহার মন;
সেই ছেলেটি বন্দী আজ দেয়াল ফ্রেমে –
পড়িয়া সে মদ্য-প্রেমে;
তাহারে দিলো নাকো দিলো না কোনো ছাড়-
দূরারোগ্য লিভার ক্যান্সার ।
এই ভূমির উপরেতে হলো নাতো আর,কোনো ঠাই তাহার-
তাহার মায়া ছেড়ে দিলো এই জগৎ সংসার ।।