গন্ধে-গন্ধে,কবিতার ছন্দে-
কৃষক মাঠের ধানানন্দে;
এলো রে এলো হেমন্ত-
নাই রে কোথায় নাই রে আজ খুশির ই অন্ত;


আসিতেই হেমন্ত,হলো রিক্ত বৃক্ষ-শাখা,
মাঠে-মাঠে বোনা ধানে ধরলো পাকা।


ঘরে ঘরে আজ উঠিলো নতুন ধান-
আর কৃষকে  কন্ঠে তার তুলিলো  সুখের গান;
নতুন ধানে রাঁধিলো পায়েশ, রাঁধিলো ফিন্নি-
কৃষক বাড়ির নব গিন্নী।


জমলো ঘাসে,পাতায়-পাতায় হাল্কা -হাল্কা শিশির-
এই হেমন্তে শেষ হীম নিশির।


কাটলে কুয়াশা সর্বনাশা-
মেঘ ভর্তি জল-খাসা
পূর্ব কোণে উঠলো ভেসে-
সূর্য্যি মামা মৃদু হেসে।


নবে কনের এই হেমন্তেই হলো সুখের বাসর-
উৎসব-আয়োজনে বসিলো ঘরে-ঘরে পিঠের ই আসর।


রঙিন ফুলে পেলো শোভা-
নব-কনের চুলের খোঁপা;
উঠলো ভরে সর্ষে ফুলে-
হলুদ রাঙ্গালো মাঠের কূলে।


নামিয়া পাল,থামে মাঝি আজ -
এই হেমন্তের বুকে নামিলে সন্ধা-সাঝঁ।


কিশোর ঠোঁটে পাতার বাঁশি-
আনিলো মুচকি হাসি;
গেলো সেথায় গেলো ভাসি-
হাওয়ায় তরে মেঘ-রাশি।


হোক অনন্ত-এই হেমন্ত পৃথিবীর বুকে-
হেমন্ত জেগে থাকুক, তোমার আমার ঠোটে-গালে-চোখে-মুখে।