ঝাপসা হয়ে এল পথ-মাঠ-ঘাট ; সন্ধ্যা নাকি ?
বস্তুত সন্ধ্যা নয় ; এখনও ফেরেনি ফেরারি পাখি
চোখে আলো কমে এল বুঝি ? করতল স্পষ্ট শুধু
জলশূন্য নদী ; দু’পারে চর বহুদূর নির্বান্ধব চর ধূ ধূ
বাতাসে পোড়া গন্ধ দম বন্ধ হয়ে আসে ; কী পোড়ে ?
কে পোড়ায় ?
যাও আমার স্বরচিত কবিতা-জীবন যাও ঘোরে-বেঘোরে...
                       পাণ্ডুরঙ পাণ্ডুলিপি ছিঁড়ে ছিঁড়ে ওড়াই


যাও যোগ-ক্ষেমঙ্করী আহৃদয় পোড়াও...



একটি পৃথিবী ডুবে গেল, ভেসে উঠল আর এক পৃথিবী
আর একটি পৃথিবী  দিগন্ত পথিক ; কিন্তু যে পৃথিবী
ঘূর্ণন-রোগী সে আমাকেও ফেলেছে ঘোরার নেশায় ,
একে না ধ্বংস না করলে শান্তি নে্ই এই পৃথিবীকে
ঠেলে দেব খাদের কিনারায়, উঠে আসবে মৃত্যু-চিৎকার-শব্দ
সেই শব্দে পৃথিবী-মৃত্যুর আলেখ্য  পড়বে সমস্ত লোক
একটি পৃথিবী ডুবে গেল ভেসে উঠল মৃত্যুর পৃথিবী

মাঠে  কোনও শস্য নেই মাঠের পর মাঠ
একলা নদী দু’পারে  চর বনের,পারে বন
বনের পথে স্মৃতি-পথিক তৃষ্ণা-কাতর নদী
গ্রীষ্মদিন ঘর জ্বালানী মাঠের শেষে নদী
ছায়াভুক গ্রীষ্ম-পথিক বুক ফেটে চৌচির
শূন্য মাঠ স্মৃতিপথিক মাঠের  শেষে মাঠ
শস্যবিহীন গ্রীষ্মদিন হেসেই কুটিকুটি

শব্দেরা টু-কি দিয়ে লুকিয়ে পড়েছে
          ছড়িয়ে গেছে এক অলৌকিক সুগন্ধ
আমি কী গন্ধবণিক?
সারা গায়ে কাদা,
                সর্দিতে বন্ধ নাক, অন্ধ
কী রগড় ! কী রগড় ! দাদা
ফালতু লোক যে কিনা নিজেকে ভাবত কেউকেটা
নাক তার কাটা গেল হাটে
মনে হয় এ এক রকম মন্দের ভালো
                 নাকি ভালোর মন্দ ?

সব পথ বৃত্তাকার
আমার যাওয়ার হাওয়ায়
                  গাছে গাছে পাতায় পাতায়
সে কত কথা-কাহিনি
                      লেখা হয় ; ধুলো জমে
ধুলো সরিয়ে ও সব
            আলতু-ফালতু পড়ার
                            অত সময় আছে কার ?
সকলের, শুধু আমার না
                               সব পথ বৃত্তাকার