দৈবচিত জন্ম তোমার
আদ্যশক্তি প্রহেলিকা নাচায়
নশ্বর এ জীবন; সময়ের খাঁচায়
আশি বছরের আয়ুটাকে বন্দী করে
আর্তনাদ করো তুমি হে মানব
সন্ধ্যা-সকাল-মধ্যাহ্ন
মুহুর্ত-নিমেষ-কাল
সময়ের উদ্যত থাবার করাল গ্রাসে
নির্বাসিত তোমার শৈশব
দুর্বিনীত কৈশোর, উচ্ছ্বল যৌবন
সময়ের দ্রুতরথে উড়ে যায় মহাকাল
কৃষ্ণ গহ্বরে; ছিঁড়ে তার সব জটাজাল।
রুদ্র কেন হে নির্মম
কেড়ে নাও সুন্দরের এতো আয়োজন?
কার তরে তব এত স্তুতি
গান এত বিষাদের?
এ কোন নিয়তি মানবের
পূর্ব পুরুষের, আগামির
ছেড়ে দীর্ঘশ্বাস শতকুঁড়ি ঝরে প্রাতকালে
চূর্ণিত অনুকণা মেশে সব
ধাবমান মহাকালে।