যদি পারো শেষ পেরেকটি ঠুকে দিও
আমার কফিনে; এখন আমার কোন কষ্ট নেই
ব্যথা নেই মনে; প্রান্তর-নগর ঘুরে বিষাদের স্বাদ
যত পেয়ে গেছি; মরমের ভাঁজে ভাঁজে তবু ক্লেশ যাচি
হাল ছেড়ে তরীখানি স্রোতজলে ফেলি
দূর হতে দেখি তীর, দূরে ভেসে চলি।


মাঠের নির্জনে একাকী সন্ধ্যার ভীড়ে
আকাশ দেখি না এখন কোন অবসরে;
অনুভবে ওড়ে না এখন ঝিরঝিরে চৈতি বাতাস;
এখন দেখি না ফিরে কবেকার একাদশী চাঁদ
উল্টে আছে; জবুথবু জলহারা মেঘেদের কাছে
মুখরিত তানপুরা ধূলো জমে মূক হয়ে গেছে।


যদি পারো কেড়ে নিও কানাকড়ি ঋণ;
দিয়ে থাকো সযতনে যদি কোনদিন
হোক তবে অবসান সেদিনের যত লেনা-দেনা
এমন গোধূলি বেলা ব্যথাভরা উদগ্র বাসনা
জেগে র'বে; বিবর্ণ আলপনা পথে পড়ে র'বে
কিছু প্রেম কিছু পূজা অবশেষে ভাস্বর হবে।


এভাবেই ফুরিয়ে গেছে ক্রুর এঁদো পথ;
থেমে গেছে থিতু হওয়া অবসাদ-রথ
বর্ষা নেমেছে ঘিরে এই এক বিষন্ন বেলায়
তামসীর ঘুটঘুটে রাতে; ভিজতে হবেই অবশেষে
যেতে হবে এ নগর ছেড়ে বহুদূর দেশে
নামহীন আলুথালু ভিখারীর বেশে।


মিরপুর
মে ০২, ২০২২