সুরম্য প্রাসাদে বসে বেমালুম ভুলে যাই
কতশত মানুষের শ্রমে-ঘামে গড়া ইমারত
ছুঁয়েছে আকাশ; ইট-সুরকির বোঝা বয়ে বয়ে
ক্ষয়ে যাওয়া দেহ দিনান্তে মাটিতে বিছায়ে
তারা ঘুমায় বেঘোরে; জীর্ণ ছাদের ফোঁকর গলে
নৈঃশব্দে নেমে আসে চাঁদ পাশাপাশি মাটির শয্যায়
আঁধারের গ্রাস হ'তে ছুটে আসে ভোরের নরোম আলো
অত:পর অস্তাচলে যায় যামিনীর তন্দ্রা বিলাসিতা
দিনভর হাতুরির ঘা'তে অস্থিসন্ধি যায় খুলে খুলে
যখন স্ফীত হয় কপালের শিরা উপশিরা
হিমেল হাওয়ার মতো দিনান্তে পাওয়া কিছু কড়ি
কষ্টের ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে যায়; এভাবেই বৈভবহীন
বুকে নিয়ে ব্যথা নিদারুন-গড়েছে সভ্যতার এ নগর
আর আমরা তারই গড়া হর্ম্যে বসে
তাকে ভাবি অধম মজুর!


১৭•১০•২০১৭