সেখানে এক মৃত নদী ছিল, আর শুকনো চর
তাপক্লীষ্টে বেঁচে থাকা নদীতলে পরিশিষ্ট নীর
অলস নির্জন দুপুর জুড়ে বিভীষিত ক্রন্দসী
অগণিত নিদ্রাহীন বিভাবরী ছিল পাশাপাশি।


নীলগিরি ছেড়ে একফালি নদী বুকের ভেতর
ক্ষণে ক্ষণে ফুঁসে ওঠে ক্ষীণস্রোতা শীর্ণ কায়া তার
জলভরা শ্রাবণে, চৈত্রের দাহে, রাগে অনুরাগে
ঢেউ তার দোলে অনুক্ষণ স্মরণের ছোঁয়া লেগে!


কতদিন তরী বেয়ে যেতে যেতে সাঁঝের বেলায়-
নক্ষত্ররা নেমে আসে ক্ষীণজলে নদীর তলায়
কষ্টেরা ফিরে আসে, চুকে যাওয়া মান অভিমান
লুকায় ঢেউয়ের ভাঁজে- রজনী হলে অবসান।


পান্থকে ছেড়ে যে পথ লীন হয়ে গেছে নীলিমায়
গোধূলির রংয়ে আজো লুকিয়ে সে মেঘের ভেলায়!
ওপারে বসেছে মেলা এপারেতে শূণ্য বালুতট
বাঁশি কিনে খুশি কেউ, সুর ভাঁজে বসে নদীঘাট।


শুকায়ে গিয়েছে নদী মাঝপথে হিমের বিকেলে
কোথা হ'তে এলো বয়ে সে, কোথা চলে যায় নির্জলে!


১৫ আগষ্ট ২০১৭